সেন্ট মার্টিন ঘিরে আসলে কী হচ্ছে

প্রথম আলো সেন্টমার্টিন, কক্সবাজার এম সাখাওয়াত হোসেন প্রকাশিত: ১৬ জুন ২০২৪, ১৫:৪২

কৌশলগত দিক থেকে সেন্ট মার্টিন খুব গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপ নয়। কারণ, এটা খুবই ছোট একটা প্রবালদ্বীপ। নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকেও দ্বীপটি খুব নিরাপদ নয়। নাফ নদীর পশ্চিম অংশ বাংলাদেশে, পূর্ব অংশ মিয়ানমারে পড়েছে। মিয়ানমারের উপকূলটা যদি আমরা লক্ষ করি তাহলে দেখব, সেটা শাহপরীর দ্বীপ থেকে নিচের দিকে নেমে দক্ষিণ দিকে চলে গেছে অনেকটা ফানেলের মতো। সেন্ট মার্টিন দ্বীপে বাংলাদেশের জলসীমার মধ্য দিয়ে যেতে হলেও কিছু জায়গা পড়ে মিয়ানমারের খুব কাছাকাছি।


রাখাইন অঞ্চলে একটা গৃহযুদ্ধ চলছে। আরাকান আর্মি রাখাইনের উত্তরাঞ্চলের ১৭-১৮টি শহর এরই মধ্যে দখল করে নিয়েছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে এখন মূল লড়াইটা চলছে মংডু শহরকে কেন্দ্র করে। এই শহরকে আরাকান আর্মি ঘেরাও করে ফেলেছে। শহরটি বাংলাদেশের একেবারেই সীমান্তসংলগ্ন।


বাংলাদেশের সীমানার কাছে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের দুটি পোস্ট রয়েছে। যত দূর জানা যাচ্ছে, দুটি পোস্টই আরাকান আর্মির দখলে চলে গেছে। রাখাইনের মানচিত্রটা যদি দেখি, তাহলে দেখব দুটি পোস্ট আরাকান আর্মি দখল করার ফলে মংডুর সঙ্গে সিত্তের সংযোগকারী সড়কটি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। একই সঙ্গে রাথিডং দখল হয়ে যাওয়ায় মংডুর সঙ্গে ইয়াঙ্গুনের সংযোগ রাস্তাটিও অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।


আমাদের ট্রলার, স্পিডবোট লক্ষ্য করে গুলি করার আশঙ্কা আরাকান আর্মির দিক থেকেই বেশি। এর কারণ হলো, তারা মনে করছে, রোহিঙ্গা, আরসা ও আরএসওকে সশস্ত্র করছে এবং আরাকানে পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। তাদের এই দাবি সত্যি নাকি মিথ্যা, তা বাংলাদেশ সরকারের দিক থেকেও কোনো বিবৃতি দিয়ে পরিষ্কার করা হয়নি।


একটা বিষয় হচ্ছে, আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের বিশ্বাস করতে পারছে না। বিশেষ করে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও), আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) কর্মকাণ্ড নিয়ে তাদের নানা সন্দেহ রয়েছে। যতটুকু খবরাখবর পাওয়া যায়, আরএসও ও আরসা সশস্ত্র হয়ে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী তাতমাদোর পক্ষে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।


জানা যাচ্ছে, বুথিডং শহরের পতনের পর সেখান থেকে কয়েক হাজার (৩০ থেকে ৫০ হাজার) রোহিঙ্গা পাহাড়ের দিকে চলে গেছে। সেখানে রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরাকান আর্মি অবশ্য রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটা অস্বীকার করেছে। তারা বলেছে, মিয়ানমারের বিমানবাহিনীর গোলায় এসব বাড়িঘর পুড়েছে।




সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও