ন্যাটো কি ইউক্রেনে নিজের মরণ ডেকে আনছে

প্রথম আলো ইউক্রেন স্টিফেন ব্রায়েন প্রকাশিত: ০৫ জুন ২০২৪, ১২:২৭

ফ্রান্স আনুষ্ঠানিকভাবে ইউক্রেনে সেনা পাঠাতে চাইছে এবং ন্যাটোর কয়েকটি দেশ রাশিয়ার ভেতরে হামলা চালানোর দাবি জানিয়েছে। এই ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্র গোপনে ইউক্রেন নিয়ে তাদের নীতি বদলে ফেলছে। নতুন এই নীতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যা চাইছেন তার সবটা পূরণ হবে না; কিন্তু রাশিয়ার অনেক ভেতরে হামলা চালানোর সুযোগ খুলে যাচ্ছে।


যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন অবশ্য বলছেন, রাশিয়ার অনেক ভেতরে হামলা চালানোর অনুমতি যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে, এমন খবর অপতথ্য ছাড়া আর কিছু নয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ইউক্রেন নীতির বদলে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেনি। ব্লিঙ্কেন বলছেন রাশিয়ানদের দিক থেকে এই অপতথ্য ছড়ানো হয়েছে। কিন্তু এই প্রতিবেদন ওয়াশিংটনের দিক থেকে আসেনি, এসেছে রাশিয়ার দিক থেকে।


কী হচ্ছে তাহলে? ইউক্রেন একেবারে ধ্বংসের কিনারে। ইউক্রেন এমনিতেই সেনা–ঘাটতিতে রয়েছে। তারপর দিন যত গড়াচ্ছে, যুদ্ধে হতাহত মানুষের সংখ্যা ততই বাড়ছে। রাশিয়ানদের একটি সূত্র বলছে, মে মাসে ৩৫ হাজারের মতো ইউক্রেনীয় সেনা হতাহত হয়েছেন। সেনাবাহিনীর এই শূন্যতা ইউক্রেন পূরণ করতে পারছে না। বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে নিয়োগের যে কর্মসূচি ইউক্রেন নিয়েছে, তার প্রক্রিয়াটা এখন চলমান। প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।


একটা উড়ো খবর ছড়িয়ে পড়েছে যে রাশিয়ানরা যুদ্ধক্ষেত্রে নতুন করে বড়সংখ্যক সেনা পাঠিয়ে নিজেদের শক্তি বাড়াতে চলেছে। অনেকে মনে করছেন, খারকোভ অঞ্চলে শক্তি বাড়াতেই যুদ্ধক্ষেত্রে নতুন করে সেনা বাড়াচ্ছে রাশিয়া। অন্যরা মনে করছেন, সামি অঞ্চলে নতুন যুদ্ধফ্রন্ট খুলতে চাইছে রাশিয়া। আবার কেউ কেউ রাশিয়া খুব শিগগির নিয়ন্ত্রণরেখা জুড়ে হামলা জোরদার করবে, যাতে আরও বেশি ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ তারা নিয়ে নিতে পারে।


ন্যাটোর নেতারা ভয় পাচ্ছেন যে রাশিয়ানদের আক্রমণের চাপে ইউক্রেনের পতন ঘটতে পারে। রাশিয়া এরপর কী করতে চলেছে, তা তারা ভালো করেই অনুমান করতে পারছেন; কিন্তু ইউক্রেনকে রক্ষা করার মতো বিকল্প তাদের হাতে খুব কমই রয়েছে। তাঁরা ভালো করেই জানেন যে ইউক্রেনে ছোট সংখ্যক সেনা পাঠানো কোনো সমাধান নয়। তাতে ইউরোপ ‘বডিব্যাগ’–এ ভরে উঠবে।


ন্যাটো রাশিয়ার সঙ্গে কোনো সমঝোতায় যেতে চায় না। বিশেষ করে নির্বাচনের আগে জো বাইডেনের জন্য সেটি হবে বড় ধরনের বিপর্যয়কর ঘটনা। রাশিয়ার সঙ্গে এখন চুক্তিতে আসা মানে বড় ধরনের ছাড় দেওয়া। সেটি শুধু ইউক্রেনের ভূখণ্ড নয়, ইউক্রেনের ভবিষ্যৎও।


ইউক্রেন থেকে ন্যাটোকে চলে যেতে হবে—রাশিয়া তার অবস্থান থেকে পিছু হটবে না। কেবলমাত্র ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার ব্যাপারে কিছুটা সম্মতি দিতে পারে রাশিয়া; কিন্তু এই নিশ্চয়তার মূল্যটাই–বা কতটুকু। ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র কি যুদ্ধ করতে যাবে?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও