জ্বালানি বাজেট ২০২৪-২০২৫ : যে বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া জরুরি

ঢাকা পোষ্ট ড. ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী প্রকাশিত: ০১ জুন ২০২৪, ১২:২১

বাংলাদেশে জ্বালানি পরিস্থিতির কিছুটা অগ্রগতি পেয়েছি। যদিও অনেকেরই শঙ্কা এটা সাময়িক প্রশান্তি। কেননা আমদানি-নির্ভর জ্বালানি-ব্যবস্থায় জ্বালানি নিরাপত্তা বলে তেমন কিছু থাকে না, যদি না খুব ভালো নিবেদিতপ্রাণ একটি ফোকাস-গ্রুপ থাকে যাদের কাজ আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজারকে হাতের তালুর মতো চেনা।


এছাড়া আন্তর্জাতিক জ্বালানি সাপ্লাই-চেইন সম্পর্কেও ভালো ধারণা রাখা দরকার। কারণ জ্বালানি তো আমদানি করেই বেঁচে থাকতে হবে। এই রকম একেবারে কিছু নাই তা নয়, তবে সত্যি বলতে, চোখে পড়ার মতো নেই। আমদানি রপ্তানি চেইনে কোথাও বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে আমাদের হোঁচট খেতে হয়। সবাই থমকে যায়, সত্য, কিন্তু আমরা বেশি চমকাই।


আরও একটি সত্যি কথা হলো, বিশ্বের অধিকাংশ দেশ জ্বালানি আমদানি করে চলে। যেমন চিন, জাপান, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো বড় দেশও আমদানি-নির্ভর। পূর্ব এশিয়ার বড় অর্থনীতির দেশগুলোর জ্বালানি সরবরাহ যায় মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের দক্ষিণে মালাক্কা প্রণালি হয়ে দক্ষিণ চীন সাগর দিয়ে। ফলে ঐ অঞ্চলে ভূ-রাজনীতির নতুন জ্বালামুখ উন্মোচিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক খবরাখবর যারা রাখেন, তারা নিশ্চয় এটা গণমাধ্যমে দেখেছেন।


তাহলে জটিল আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বাংলাদেশের জ্বালানি অভিমুখ কেমন হবে? এটা লম্বা প্রশ্ন এবং এর উত্তর সময়ের সাথে বদলাতে থাকবে। তবে প্রতি বছর বাৎসরিক বাজেট প্রণয়নের মুখে আমরা জ্বালানি নিয়ে একই প্রশ্ন রাখি। আমাদের কী হবে? এই বছর আমরা কোথায় কোথায় অর্থছাড় দেব? এই ছাড়ের মাধ্যমে আমরা জ্বালানি খাতে কী বার্তা পাবো?


এই ধরনের প্রশ্ন প্রতি বছর ঘুরেফিরে আসছে। প্রতি বছর আমরা একরকমের বাজেট-বার্তা পেয়ে থাকি, পরের বছর সেই অভিমুখ আবার বদলে যায়। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি একটা পরিকল্পনা বা দৃশ্যকল্পের অভাব যেন আমরা টের পাই। তবে এবার আমাদের হাতে আছে সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ পরিকল্পনা বা ইন্টিগ্রেটেড এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার মাস্টার প্ল্যান (IEPMP) এবং মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা। এগুলোর আলোকে আমাদের আরও কিছু ছোটবড় স্বল্পমেয়াদি প্ল্যানের কথা শোনা যায়। যাই হোক, তবে এই দুটির মধ্যে বিশেষ করে সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ পরিকল্পনা উল্লেখ করার মতো বিষয় যা জাইকা’র অর্থায়নে এবং তত্ত্বাবধানে প্রণীত হয়েছে।


আগামী বাজেটে আপনি কী দেখতে চাইবেন—এই প্রশ্নের প্রথম উত্তর হলো কোনো রকমের টোটকার চাইতে আমাদের একদম চোখ বন্ধ করে উচিত হবে সমন্বিত জ্বালানি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রাথমিক ধাপ রচনা করা। অর্থাৎ সমন্বিত প্ল্যানে স্বল্পমেয়াদে যা যা করতে বলা হয়েছে, তার ভিত তৈরি করা। আমাদের দেখানো উচিত—আমরা এই পরিকল্পনাকে অত্যন্ত সিরিয়াসলি নিয়েছি, আমরা এতে বিশ্বাস করি এবং আস্থা রেখেছি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও