সরকার কি জনগণের?

জাগো নিউজ ২৪ ড. মাহবুব হাসান প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২৪, ১৩:৫৩

সরকারের প্রশাসনিক আচরণ দেখে এটাই মনে হচ্ছে যে সরকার জনগণের নয়। এ সরকার আওয়ামী লীগের। আওয়ামী লীগ ভোটে জিতে ( এনিয়ে তর্ক-বিতর্ক আছে। মিথ্যা-সত্যের মিশেল আছে) ক্ষমতায় গেছে। কিন্তু ক্ষমতায় গিয়ে সরকার জনগণের রাজনৈতিক অধিকার নিয়ে তর্ক তুলেছে বিভিন্ন ইস্যুতে। ওই সব বিতর্কের মীমাংসা কখনোই করে না সরকার বা প্রশাসন, তা ঝুলিয়ে রাখে। ঝুলিয়ে রেখে দেখার বা বোঝার চেষ্টা করেন যে জনগণ ক্ষেপে যায় কি না। তারপর সেই জনগণ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করে কি না। প্রতিবাদ করলে পুলিশ লেলিয়ে দেওয়া হয়। বিএনপির নানামাত্রিক গণবিক্ষোভের সময় ১৭টি প্রাণ হরণ ছিল চরম অন্যায় অপরাধ। কারণ ওই জনগণ তাদের ওপর সরকারি দমন ও পীড়নের প্রতিবাদ করতেই গণমিছিল বের করেছিল। কিন্তু সরকারের বুলি হচ্ছে প্রতিবাদী মিছিলকারীরা সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করছিল।


আইনশৃঙ্খলা বিনাশ করছিল, তাই (গুলি করে মানুষ হত্যার কথা তারা বলে না। ) স্থবির বা জড়বস্তুর চেয়ে মানুষের মূল্য যখন কম হয় সরকারের কাছে, তখন এই ধরনের হত্যাযজ্ঞ চালায় সরকার। কিন্তু একবারও এটা ভাবে না যে মানুষকে খাদ্যশস্যের দাম কমানোর জন্য সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে সক্রিয় করতেই আন্দোলন ও মিছিলের মতো গণতান্ত্রিক অধিকার গ্রহণ করে।


সরকার তখন ওই জড়বস্তু নামক ‘জনগণের সম্পদ’ রক্ষার জন্য গুলি করে প্রতিবাদী মানুষ হত্যা করতে হয়। আমাদের তথাকথিত নির্বাচিত সরকারের রাজনৈতিক নাটকগুলো এমনই। অতীতের সব সরকারের আচরণ ও গত ১৫ বছরের আওয়ামী সরকারের আচরণের মধ্যে কোনোরকম পার্থক্য নেই। তবে এই ১৫ বছরের সরকার মানুষের ওপর যে-ভাবে শাসনকে শোষণ ও নির্যাতনের স্টিমে পরিণত করেছে, তার তুলনা বাংলাদেশে নেই।


কর্তৃত্ববাদী বলতে যা বোঝায়, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ও সরকারের প্রশাসনিক আচরণের মধ্যে কোনো ফারাক খুঁজে পাওয়া যায় না। একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। তিনি সেতু, সড়ক পরিবহন মন্ত্রী এবং দলের সাধারণ সম্পাদক, ওবায়দুল কাদের গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকরা ঢুকতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। তিনি কি বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা? নাকি মুখপাত্র? যখন তিনি এই কথা বলছিলেন, মনে হয় তিনি ওই ব্যাংক পরিচালনার একজন। কিন্তু তিনি তো অর্থমন্ত্রীও নন, তিনি সেতুমন্ত্রী। তারপরও তিনি রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক। ওই পজিশনে থেকে তিনি ওই নির্দশনামূলক কথা বলতে পারেন কি না, আমরা তা জানতে চাই। সব মন্ত্রীই যদি সব মন্ত্রণালয় বা সংস্থার বিষয় নিয়ে জনগণের সামনে বা সাংবাদিকদের কিছু বলতে চান, তাহলে তা `হ য ব র ল’ হবে। তাই যার দায়িত্ব তাকেই বলতে দেয়া উচিত। আগ বাড়িয়ে নাক গলানো মন্ত্রীর কাজ নয়। তিনি সরকারের রাজনৈতিক মুখপাত্র হতে পারেন, কিন্তু তাতে তিনি সাংসাদিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারিকে সমর্থন করে বক্তব্য দিতে পারেন না।


২.
কেন সাংবাদিকরা বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো জনগণের বাংকে ঢুকতে পারবেন না? জনগণের টাকার জিম্মাদার ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কথাগুলো সেতুমন্ত্রী কেন বললেন তা আমাদের বোধে আসছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকরা যান সত্য তথ্য-উপাত্ত নেওয়ার জন্য। তারা ঋণ নেওয়ার জন্য ওই প্রতিষ্ঠানে যান না। কিন্তু ঋণখেলাপিদের অবাধ যাতায়াত কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। কেন তারা সেখানে যান? নতুন ঋণ যাতে পেতে পারেন, সেই তদবিরে? নাকি ঊর্ধ্বতন কর্তাদের ভজাতে, যাতে তারা যে ঋণী, তা অবলোপন করেন বা স্থগিত রাখেন, এই ধরনের দুর্নীতি কায়েমের উদ্দেশেই ঋণখেলাপিরা সেখানে যান।


বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, তাদের লক্ষ্য তিনটি—১. ব্যাংকের সার্বিক খেলাপি ঋণ ৮ শতাংশের নিচে নামানো, যা এখন ১০ শতাংশের একটু কম। ২. রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশ এবং বেসরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা, যা এখন যথাক্রমে প্রায় ২২ ও ৭ শতাংশ। ৩. ব্যাংকখাতে সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য সীমার বাইরে দেওয়া ঋণ, বেনামি স্বার্থসংশ্লিষ্ট ঋণ এবং জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ঋণ বিতরণ শূন্যে নামিয়ে আনা। বেনামি স্বার্থসংশ্লিষ্ট ঋণ, জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ঋণ বিতরণ শূন্যে নামিয়ে আনা’ নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও