সাংবাদিকেরা কেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘প্রতিপক্ষ’

প্রথম আলো শওকত হোসেন মাসুম প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২৪, ১০:৫৮

সাংবাদিক প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করতে হলে সাংবাদিকদের অপেক্ষা করতে হবে। তারপর নির্দিষ্ট কর্মকর্তা দেখা করতে চাইলে তবেই প্রবেশাধিকার মিলবে। বাংলাদেশ সম্ভবত এটা শিখেছে ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের কাছ থেকে। তিনিও ২০১৯ সালে দায়িত্ব নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রবেশের ওপর একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন।


তখন দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিল, নর্থ ব্লকের দুই নম্বর গেটের বাইরে চমৎকারভাবে সজ্জিত শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বিশ্রামকক্ষ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে পানি, চা ও কফির অবিরাম সরবরাহ থাকবে। সাংবাদিকেরা সেখানে অপেক্ষা করবেন। যে কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করতে চান, তাঁকে খবর দেওয়া হলে তিনি এসে দেখা করে যাবেন।


দেশজুড়ে এ নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ করা হয়েছিল। সাংবাদিক সংগঠনগুলোও একযোগে বিবৃতি দিয়ে বলেছিল, এটি হচ্ছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের আরেক ধাপ। দ্য হিন্দুর উপসম্পাদক শোভনা কে নায়ার এ ঘটনা নিয়ে মজা করে লিখেছিলেন, ‘আহা! বিশ্রামকক্ষে বসে বসেই যদি সংবাদ লেখার সব তথ্য পাওয়া যেত, তাহলে সাংবাদিকদের জীবন কত না সহজ হতো!’


কিন্তু এই সহজ জীবন তো সাংবাদিকেরা চান না। আর আমরা সবাই জানি, সরকার যেটা জানাতে চায় সেটা আসলে প্রেস রিলিজ, আর যা লুকাতে চায় সেটাই সংবাদ। আর সেই লুকানো সংবাদ পেতে প্রয়োজন গণমাধ্যমের ভাষায় ‘সোর্স’। আর এই সোর্স বিশ্রামকক্ষে বসে তৈরি হয় না। যাঁর যত ভালো সোর্স, তিনিই তত বড় সাংবাদিক। এখানে কেউ সঠিক সাংবাদিকতা করুন—এটা আসলে সরকারই চায় না।


অথচ উন্নত দেশগুলো গণতন্ত্রের স্বার্থেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়। কারণ, গণমাধ্যম আসলে সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে এগিয়ে থাকা নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, সুইডেন, ডেনমার্ক বা নেদারল্যান্ডস যেকোনো সরকারি অফিসে অবাধে যাতায়াতের সুযোগ দেয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও