পাঠাভ্যাসের বিপ্লব ঘটিয়ে সরকার ফতুর হবে না
২৩ এপ্রিল ‘বিশ্ব বই দিবস’। দুনিয়াব্যাপী জাতিসংঘ প্রবর্তিত বিশ্ব বই দিবসকে ঘিরে গ্রন্থ প্রকাশনা, পঠন এবং মেধাস্বত্বের তাৎপর্যকে তুলে ধরা হচ্ছে। একইসঙ্গে এর সামনের গলদ বা বাধা দূরীকরণ আর বিদ্যমান বাস্তবতা আর প্রতিকূলতা মোকাবেলা করার জন্যে চলছে নানা বিতর্ক, নীতিনির্ধারণী আলোচনা আর আইনগত সংস্কারের উদ্যোগ। বিশেষ করে মেধাস্বত্ব, গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা চৌর্যবৃত্তি বা এআই, ই-বুক, শ্রুতিপুস্তক এরকম বিবিধ বিষয় নিয়ে।
নবনিযুক্ত সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান তরুণ সদস্যের ভূমিকায় জাতীয় সংসদে গত মেয়াদে জোরালো কণ্ঠস্বর হিসেবে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। তার বাবা শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীর বিক্রম। তাৎপর্যপূর্ণ পারিবারিক এই পরিচয়টি তার রাজনৈতিক অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজে দিয়েছে। নবনিযুক্ত প্রতিমন্ত্রী সম্পর্কে মোটা দাগে এর বাইরে তেমন কিছু জানা যায় না। মন্ত্রিত্ব লাভের পূর্বে সাংস্কৃতিক জগতের সঙ্গেও দৃশ্যত তার সংশ্লিষ্টতারও কোনো খবর আপাতত আমাদের কাছে নেই। তাতে তেমন কিছু যাবে বা আসবে না। কেননা পরিবহনমন্ত্রী যেমন যানবাহন চালিয়ে দক্ষতা দেখাবেন না, বিমানমন্ত্রী যেমন উড়োজাহাজ চালাবেন না, কৃষিমন্ত্রী যেমন মাঠে নেমে জমি চাষ করবেন না, শিক্ষামন্ত্রী তেমনি শ্রেণিকক্ষে গিয়ে পাঠদান করবেন না। বইপত্র সংক্রান্ত সরকারি যাবতীয় কাজ যেহেতু সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীন, কাজেই আমরা সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীকে দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘বইমন্ত্রী’ বলতেও পারি। নাহিদ ইজাহার খানের কাছে আমাদের প্রত্যাশা বই নিয়ে অনেক কিছু করবেন তিনি।