কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বিশ্ব বই দিবস: হতে পারে সোনালি প্রজন্ম গড়ার প্রেরণা দিন

www.ajkerpatrika.com কামরুল হাসান শায়ক প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৮

২৩ এপ্রিল বিশ্ব বই দিবস। এ বছর ১০০টির অধিক দেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব বই দিবস। শিক্ষা-সংস্কৃতিতে অগ্রসর দেশগুলোয় বিশ্ব বই দিবসের আয়োজন রীতিমতো বিস্ময়কর। আমরা জানি, আগামী পৃথিবীর নেতৃত্ব দেবে মেধাবীরা আর সমাজ বা রাষ্ট্রকাঠামো হয়ে উঠবে জ্ঞানভিত্তিক। বিশ্বায়নের এই যুগে মেধাবী প্রজন্ম এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার মূল উপাদান হচ্ছে বই এবং চর্চার মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে পাঠাভ্যাস। বিশ্ব বই দিবস বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 


বিশ্ব বই দিবসটির সূচনা কীভাবে হয়েছে?
কথিত আছে, স্পেনের কাতালানে জন্ম নেওয়া বীর রোমান যোদ্ধা সেন্ট জর্ডি তাঁর তরবারির আঘাতে ড্রাগন বধ করে বাঁচিয়েছিলেন কাতালানের রাজকন্যাকে। নিহত ড্রাগনের রক্তে ভেজা সেই মাটিতে বেড়ে ওঠে একটি গোলাপ। একদিন বীর জর্ডি সেই গোলাপগাছের একটি গোলাপ উপহার দেন রাজকন্যাকে। বিনিময়ে রাজকন্যা দিয়েছিলেন প্রেম এবং জ্ঞান। ২৩ এপ্রিল ৩০৩ খ্রিষ্টাব্দে রাজা কর্তৃক বীর জর্ডির হৃদয়বিদারক হত্যাকাণ্ড কাতালানবাসীকে শোকে মুহ্যমান করে তোলে, আরও বিপুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন জর্ডি। জর্ডির সম্মানে সেই থেকে কাতালানবাসী অনানুষ্ঠানিকভাবে ২৩ এপ্রিল উদ্‌যাপন শুরু করে জর্ডি দিবস। অবশেষে ১৪৫৬ খ্রিষ্টাব্দে কাতালান পার্লামেন্টে ২৩ এপ্রিলকে সেন্ট জর্ডি স্মরণে ‘ফেস্টিভ্যাল ডে’ ঘোষণা করা হয়। এই ফেস্টিভ্যাল ডেতে প্রিয়জনকে গোলাপ ফুল এবং বই উপহার দেওয়ার প্রচলন শুরু করা হয়। জর্ডি ডেতে পুরো কাতালানের গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল সব স্থানে বই আর ফুলের বিপুল পসরা বসত। এই উৎসব ক্রমেই পুরো স্পেনে ছড়িয়ে পড়ে, সেই সঙ্গে ইউরোপের অন্যান্য দেশেও বিস্তার লাভ করে।


স্পেনের লেখক ভিসেন্তে ক্লেভেল আন্দ্রেসের মাথায় প্রথম বিশ্ব বই দিবস পালনের আইডিয়ার উদ্ভব ঘটে। ভিসেন্তে ছিলেন স্পেনের বিখ্যাত লেখক মিগুয়েল সার্ভেন্তেসের ভাবশিষ্য। তাই মিগুয়েল সার্ভেন্তেসের সম্মানে তাঁর জন্মদিন ৭ এপ্রিলকে বিশ্ব বই দিবস ঘোষণা করে ১৯২৬ সাল থেকে ভিসেন্তে বিশ্ব বই দিবস পালনের সূত্রপাত করেন। এটি কয়েক বছরের মধ্যেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। এরপর ১৯৩০ সালে স্পেনের রাজা আলফোনসো-১৩ জর্ডি দিবসের সঙ্গে সমন্বয় করে ২৩ এপ্রিল বিশ্ব বই দিবস নির্ধারণ করেন। সেই থেকে স্পেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ২৩ এপ্রিল বিশ্ব বই দিবস হিসেবে পালিত হতে শুরু করে।


১৯৯৫ সালে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেসকো তাদের সম্মেলনে মানুষকে বই পড়ায়, লেখায় এবং প্রকাশনায় উৎসাহিত করার লক্ষ্যে একটি বিশেষ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ইউনেসকো ১৯৩০ সাল থেকে ২৩ এপ্রিল স্পেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রচলিত বিশ্ব বই দিবস, পৃথিবীর বিখ্যাত লেখক উইলিয়াম শেক্‌সপিয়ার এবং ইনকা গারসিলাসো দে লা ভেগার মৃত্যু দিবসের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ২৩ এপ্রিলকেই ‘বিশ্ব বই দিবস এবং কপিরাইট দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে।


বিশ্ব বই দিবস উপলক্ষে প্রতিবছর ইউনেসকো একটি থিম ঘোষণা করে। ২০২৪ সালে বিশ্ব বই দিবসের থিম হচ্ছে, ‘রিড ইওর ওয়ে’। ২০২১ সাল থেকে প্রতিবছর একটি শহরকে প্রতিযোগিতামূলকভাবে ‘ওয়ার্ল্ড বুক ক্যাপিটাল’ ঘোষণা করা হয়। ২০০১ সালে প্রথম ‘ওয়ার্ল্ড বুক ক্যাপিটাল’ হিসেবে জয়ের মুকুট ছিনিয়ে নেয় মেক্সিকোর গুয়াদালাজারা শহর। ২০২৪ সালে এ বিজয় অর্জন করে ফ্রান্সের স্ট্রাসবুর্গ শহর। ২০২৫-এর বিজয়ী ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো শহর। ২০২৬-এর প্রতিযোগিতার জন্য আবেদনপত্রসহ যাবতীয় প্রামাণ্য কাগজপত্র গ্রহণের সর্বশেষ তারিখ ছিল ১০ এপ্রিল ২০২৪। ফলাফল এখনো অপ্রকাশিত।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও