চালের দাম কেন আরেক দফা বাড়ল?

সমকাল হাসান মামুন প্রকাশিত: ২৪ মার্চ ২০২৪, ১৩:০৪

নতুন করে চালের দাম বাড়ার খবরের মধ্যে ৮৩ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে ৩০ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। নির্দিষ্ট সময়ে এনে সেটা তাদের বাজারজাত করতে হবে। সরকার নিজে চাল আমদানি করবে কিনা, তা অবশ্য এখনও অস্পষ্ট। চলমান চাহিদা ও যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় তার হাতে ‘পর্যাপ্ত মজুত’ রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বাজারেও কোনো ঘাটতি নাকি নেই। এ অবস্থায় দশ রমজান পেরিয়ে যাওয়ার মুহূর্তে মিলগেটসহ খুচরা বাজারে চালের দাম কেন আরেক দফা বাড়ল, সেটা এক বড় প্রশ্ন।


রমজানে চালের চাহিদাও কি লাফিয়ে বেড়েছে? চাল থেকে মুড়ি ও চিড়া উৎপাদন এ সময়ে অনেক বেড়েছে অবশ্য। বোরো ধান পেকে আসার আগে এ সময়টায় চালের কিছুটা ঘাটতি হতেও দেখা যায়। তাতে এর দাম বাড়ার একটা প্রবণতা থাকতে পারে। মাস দুয়েক আগেও কিন্তু চালের দাম হঠাৎ বেড়ে গিয়েছিল। সেটা কমে এলেও আগের জায়গায় আসেনি। রমজানের আগমুহূর্তে চালের বাজার ছিল ‘উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল’। আশা করা হচ্ছিল, অন্য কিছু খাদ্যপণ্য নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও চালের বাজার অস্থির হবে না। এর মধ্যে তিনটি খাদ্যপণ্যের সঙ্গে চালের কর-শুল্কও কমানো হয় উল্লেখযোগ্যভাবে। কিছু চাল যে অচিরেই আমদানি করা হবে, সে বার্তাটি ছিল এতে। খাদ্যমন্ত্রী এমনকি ‘শূন্য শুল্কে’ চাল আমদানির সম্ভাবনার কথাও বলেছিলেন।


তার প্রয়োজন বোধহয় হবে না। আমদানির অনুমতি প্রদানের অতিসাম্প্রতিক খবরেও চালের বাজারে একটা ইতিবাচক বার্তা যাবে। এমন খাদ্যপণ্য আমদানিতে এলসি জটিলতা হবে না বলেও ধরে নিচ্ছি। মাঠে যে বোরো ফসল রয়েছে, তাতে সার বা অন্য কোনো উপকরণের প্রাপ্যতা নিয়েও বড় কোনো সংকটের খবর মেলেনি। দেশে সার কারখানা চালু রাখা এবং এর আমদানি নিশ্চিত করা নিয়ে কিছু জটিলতা সৃষ্টির খবর অবশ্য মিলেছিল। যেভাবেই হোক, এর দ্রুত নিষ্পত্তিই হলো কথা। গ্রীষ্মের আগেই গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং হচ্ছে অবশ্য। এতে বোরো উৎপাদনও ব্যাহত হতে পারে।


ডিজেলের দাম নামমাত্র কমানো হয়েছে। এদিকে বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুতের দাম। সারের দাম বাড়ানো হয়েছে আগেই। কৃষিতে মজুরিও বেড়েছে। সব কৃষিপণ্যের উৎপাদন ব্যয়ই ক্রমবর্ধমান। এ অবস্থায়ও ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া চলবে না; ধানের লাভজনক দামও কৃষককে দিতে হবে। চালকল মালিকদের নাকি বেশি দামে ধান কিনতে হচ্ছে এখন। বিদ্যুৎ নিয়েও সংকট আছে। সামনে তারা কেমন দামে বোরো ধান কিনবেন, সেটা এক বড় প্রশ্ন। সরকারের সংগ্রহ অভিযান যেন এ ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত ভূমিকা রাখতে পারে, সেভাবেই সাজাতে হবে পরিকল্পনা। ধান-চালের উৎপাদন, নিট প্রাপ্তি ও চাহিদা সম্পর্কে সঠিক তথ্য মিলছে না বলে কিন্তু বারবারই অভিযোগ উঠছে। সরকারেরও কোনো কোনো পক্ষ এ নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করে। সময়ে সময়ে চালের দাম হঠাৎ বেড়ে গেলে বলাও হয়ে থাকে, জরুরি এ পণ্যে আমরা এখন আর ‘স্বয়ংসম্পূর্ণ’ নেই। বড় রকম না হলেও উল্লেখযোগ্য ঘাটতিতে আছি, যার পরিপূরণে সময়মতো আমদানির কোনো বিকল্প নেই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও