গ্রামের স্কুলে নারীবান্ধব টয়লেট, মাসিকভীতি থেকে মিলেছে মুক্তি

প্রথম আলো সৈয়দ সাদ আন্দালিব প্রকাশিত: ০৭ মার্চ ২০২৪, ১১:২৬

দেশের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনো নারীবান্ধব টয়লেটের সুব্যবস্থা নেই। পুরুষশাসিত সমাজে নারীর এই মৌলিক চাহিদার বিষয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সুদীর্ঘকাল ধরে উপেক্ষিত হচ্ছে। এ রকম বাস্তবতায় গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রামের মেয়েরা আধুনিক স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট–ব্যবস্থার সুযোগ পেলে তারা অনেক বেশি দ্বিধাহীন এবং পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারে। নারীবান্ধব টয়লেট স্কুলছাত্রীদের জীবনে কী ইতিবাচক পরিবর্তন এনে দিতে পারে।


ঝালকাঠী জেলার গ্রামীণ এলাকায় ছেলেমেয়ে একত্রে পড়াশোনা করে এমন একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তিন বছর আগে মেয়েদের জন্য আলাদা একটি টয়লেট স্থাপন করা হয়। নারীর প্রজননস্বাস্থ্য বিষয়ে সামাজিক কুসংস্কার ও পরিচ্ছন্নতাবিষয়ক সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য এটি স্থাপন করার চিন্তা করা হয়।


নারীবান্ধব একটি টয়লেট যে কিশোরীদের আত্মবিশ্বাসী ও জীবনের প্রতি আস্থাশীল করে তুলবে এবং আরও অনেক উপকারে আসবে, সেটিও বোধগম্য ছিল। এ ছাড়া প্রকল্পটির উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষক, মা-বাবা, স্কুলটি যে এলাকায় অবস্থিত, সেখানকার স্থানীয় নেতারা, এমনকি কিশোরদের মনোভাব পরিবর্তন করা।


টয়লেটটি নির্মাণের পরপরই করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ায় নারীবান্ধব টয়লেটটির প্রভাব জানা–বোঝার বিষয়টি স্থগিত রাখতে হয়। দুই বছর বিরতির পর ২০২২ সালে আবার স্কুল খোলা হয়। এরপর প্রকল্পটি মেয়েদের জীবনে কী প্রভাব ফেলেছে, সে বিষয়ে মূল্যায়ন করার কাজ হাতে নেওয়া হয়।


বাইরে একটি কক্ষ দ্বারা বেষ্টিত টয়লেটটিতে প্রবহমান পানির সুবিধাসহ দুটি ওয়াশরুম আছে। সেখানে স্যানিটারি প্যাড, সাবান ও লিকুইড হ্যান্ডওয়াশ রাখা আছে। যখন প্রয়োজন, মেয়েরা তাদের ব্যবহৃত প্যাডটি পরিবর্তন করতে পারে এবং ব্যবহৃত প্যাড পলিব্যাগে মুড়িয়ে একটি নির্দিষ্ট ঝুড়িতে ফেলতে পারে। এ ছাড়া মাসিকের তারিখ লেখার জন্য সেখানে একটি হোয়াইট বোর্ডও রয়েছে। একটি কক্ষ দ্বারা পরিবেষ্টিত দুটি ওয়াশরুম বাইরের কারও নজর এড়িয়ে মেয়েদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা প্রদান করে।


এই লেখায় আমরা তুলে ধরব টয়লেটটি স্কুলের মেয়েদের জীবনে কী ধরনের প্রভাব ফেলেছে। একটি কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নমালা ব্যবহার করে গুণগত সাক্ষাৎকার গ্রহণের মাধ্যমে স্কুল প্রাঙ্গণে অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রীদের কাছ থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে এই গবেষণা পরিচালনা করা হয়।


এ ক্ষেত্রে স্কুলের মেয়েদের জীবনে, বিশেষ করে স্কুলে উপস্থিতি, শ্রেণিকক্ষে মনোযোগ, তাদের শারীরিক-মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং মাসিকের সময়ে তারা যেসব প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে—এ বিষয়গুলো জানার চেষ্টা করা হয়েছে। কয়েকটি বিষয়বস্তুর আওতায় এই আলোচনা করা হলো।


নীরবতা ভঙ্গ


একজন ছাত্রী জানান, অতীতে মেয়েদের পিরিয়ড বা মাসিক বিষয়ে সমাজের অন্যান্য স্থানের মতো স্কুলেও আলোচনা একটি ‘নিষিদ্ধ’ বিষয় ছিল। এটি বয়ঃসন্ধিকালীন মেয়েদের শারীরবৃত্তীয় একটি সাধারণ প্রক্রিয়া ও সুস্থতার লক্ষণ। এরপরও অভিভাবক কিংবা শিক্ষক—কেউই স্কুলে এটি নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন না।


দুর্গন্ধ থেকে পরিত্রাণ


স্কুলের মেয়েরা জানায়, অপরিচ্ছন্নতা ও অনবরত দুর্গন্ধ ছড়ানোর কারণে আগে তারা স্কুলের টয়লেট ব্যবহার করতে অস্বস্তি বোধ করত। নির্মাণকাজে ত্রুটি, প্রবহমান পানি ও টয়লেট পেপারের অভাব ছিল মূল সমস্যা।


মাসিকভীতি থেকে মুক্তি


একজন ছাত্রী জানায়, ‘একদিন আমি আমার তলপেটে ব্যথা অনুভব করতে লাগলাম। আমি টয়লেটে গিয়ে দেখি আমার পিরিয়ড শুরু হয়ে গেছে। আমি বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে গেলাম এবং স্কুল থেকে বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও