অপারেশনের আগে অ্যানেসথেসিওলজিস্টের সাথে কথা বলা কতটা জরুরি?

জাগো নিউজ ২৪ শাহানা হুদা রঞ্জনা প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৪

ভাবতে অবাক লাগছে খতনার মত প্রাচীন ও প্রচলিত একটি বিষয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রিক দুর্বলতা নিয়ে শেষপর্যন্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কথা বলতে হলো। মেডিক্যাল সায়েন্সের সবচেয়ে সহজ এই পদ্ধতিটি নিয়ে কেন এত বিপর্যয় হচ্ছে, সম্প্রতি রাজধানীতেই পরপর দুটি শিশু মারা গেল কেন? অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে খতনা করাতে গিয়ে দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জিরো টলারেন্স দেখাতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেখা যাক চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ আদালত বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) তদন্ত করে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করে।


ধারণা করা হয় প্রায় ১৫,০০০ বছর আগে মিশরে খতনা প্রথা চালু হয়েছিল। আমাদের দেশে শত শত বছর ধরে গ্রামের প্রায় নিরক্ষর হাজামরা এই খতনা করে আসছেন। তারা কোনও ধরনের অ্যানেসথেসিয়া দেয়া ছাড়াই কয়েকশো বছর ধরে এ কাজ করে আসছেন। হাজামরা এমনভাবে খতনা দেন যে দেখলে মনে হবে তারা খুব অস্বাস্থ্যকর এবং অবৈজ্ঞানিক কায়দায় এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করছেন। কিন্তু দেখা যায় তারা বেশ সহজভাবেই পরীক্ষায় পাস করে যান, তেমন বড় কোনো দুর্ঘটনার অভিযোগ ছাড়াই।


দুটি শিশুর মৃত্যুর পর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক সার্জারির সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম গণমাধ্যমকে বলেছেন, খতনা করতে গিয়ে সাম্প্রতিক দুর্ঘটনাগুলোর খবর পেয়ে অনেকে বলেছেন হাজামের কাছে খতনা করা ভালো। হাজামের কাছে অনেকে যায়, তাদের কিন্তু জটিলতাও হচ্ছে। আমাদের এখানে অনেক গুরুতর রোগী আসে, অনেকে মারাও যায়। এতে প্রান্তিক ও দরিদ্র পরিবারের সন্তান থাকে, তাই তাদের নিয়ে আলোচনা হয় না। আর তাই সেই কথা কেউ জানেও না।'


গত কয়েক দশকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে সার্জারির মাধ্যমে খতনা করানোর চল বেশ বেড়েছে, বিশেষ করে শহরে। আধুনিক মানুষ হাজামের উপর ভরসা করতে পারছেন না। যেহেতু এটা একধরনের সার্জারি, তাই তারা চিকিৎসকদের কাছেই যাওয়াটা নিরাপদ মনে করছেন। জেলা শহরগুলোতে ও গ্রামে অবশ্য এখনো হাজাম দিয়েই খতনার কাজটি চলছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও