ইউক্রেইন কি যুক্তরাষ্ট্রের ফাঁদেই আটকে থাকবে?

বিডি নিউজ ২৪ ইউক্রেন ড. মঞ্জুরে খোদা প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০৭

রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধের দুই বছরে কে কী অর্জন করল, এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ প্রকাশিত হচ্ছে। এগুলোর সব নিরপেক্ষ ও বস্তনিষ্ঠ এমনটা বলা যাবে না। এরমধ্যে আছে প্রপাগান্ডা ও সত্য-মিথ্যার সংমিশ্রণ। সেগুলো বিশ্বাস ও মতাদর্শ দ্বারা নানাভাবে প্রভাবিত ও পক্ষপাতমূলক। যে কারণে যুদ্ধের লাভ-ক্ষতি ও অর্জনের প্রকৃত চিত্র সবটা পাওয়া দূরূহ ও কঠিন।


পাশ্চাত্যের মিডিয়া বলছে, রাশিয়া ও পুতিনের অবস্থা খুব ভালো নয়। দেশটি সহসাই বড় বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে। তারা ইউক্রেইনের সাফল্য-বীরত্ব বড় করে তুলে ধরছে। রাশিয়ার পুতিনবিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনির কারাগারে মৃত্যুকে নিয়েও পুতিনের বড় ধরনের বিপর্যয় দেখছেন। বাস্তব পরিস্থিতি কি তাই? ইরাক আক্রমণের সময়ও মার্কিনীরাও অনেক মিথ্যা গল্প ফেঁদেছিল। যে মিথ্যাচারের কথা আজ তারাই স্বীকার করছে।


যুদ্ধ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেই হচ্ছে তবে রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধ সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আলোচনায় আছে। যদিও ইসরায়েলের গাজা আক্রমণ, হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ একে অনেকটা ম্লান করে দিয়েছে। ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে রাশিয়ার ইউক্রেইন অভিযান তৃতীয় বছরে পা দিয়েছে। সবারই প্রশ্ন গত দুই বছরে রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধে কে কী অর্জন করল? এই যুদ্ধ বন্ধে পাশ্চাত্যের কোনো উদ্যোগ-প্রচেষ্টা নেই কেন?


সম্প্রতি ইউক্রেইনের রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কির প্রধান উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক এক এক্স (টুইটার) পোস্টে বলেন, মস্কোর সঙ্গে আলোচনা শুরুর জন্য তাদের কিছু শর্ত রয়েছে। সেগুলো হলো ‘অস্ত্রবিরতি, জেড প্রতীকযুক্ত সেনা প্রত্যাহার, অপহৃত নাগরিকদের ফিরিয়ে দেওয়া, যুদ্ধাপরাধীদের বহিষ্কার, ক্ষতিপূরণ প্রক্রিয়া এবং ইউক্রেইনের সার্বভৌমত্বের অধিকারে স্বীকৃতি।’ জেলেনস্কিও একাধিকবার বলছেন, তাদের দখলকৃত ‍ভূমি উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত তিনি পুতিনের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনায় যাবেন না। 


সম্প্রতি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন টাকার কার্লসনকে দেওয়া এক বিরল সাক্ষাৎকারে বলেছেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যেতে পারে যদি যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেইনকে অস্ত্র সাহায্য বন্ধ করে। শুধু তাই নয়, এর আগেও রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যুদ্ধ বন্ধ বা আলোচনা হতে পারে যদি ইউক্রেইন রাশিয়ার তিনটি শর্ত মানতে রাজি হয়। সেগুলো হচ্ছে, ১) ইউক্রেইনকে নাৎসি চেতনা ও তার পক্ষের সকল কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে ২) ইউক্রেইনকে ন্যাটোতে যোগদান থেকে বিরত থাকতে হবে ৩) রাশিয়ার দখলকৃত দোনেস্ক, লুহানস্কের, জাপোরিঝিয়া ও খেরসন অঞ্চলের দাবি ছাড়তে হবে। যেসব অঞ্চল ইতোমধ্যে গণভোটের মাধ্যমে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও