নিসর্গ ধ্বংসের কারিগর

www.ajkerpatrika.com মামুনুর রশীদ প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৬

নিসর্গ ধ্বংসের একটা সংস্কৃতি আমাদের বাঙালি মুসলমানদের মজ্জাগত বিষয়। উপমহাদেশের প্রাচীনতম শহর তথা আমাদের ঢাকার কোনো স্মারকচিহ্ন আমরা রক্ষা করিনি। ১৬১০ খ্রিষ্টাব্দে মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে সেনাপতি ইসলাম খাঁ যে শহরটির সূচনা করেন, তার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বুড়িগঙ্গার পাড়ে অসংখ্য খাল একটা নৌপথের সৃষ্টি করেছিল বটে, সেসব ধ্বংস করে ধোলাইখালকেও ভরাট করে দেওয়া হলো। অনুমান নয়, এটা প্রমাণ করাও কঠিন হবে না যে অসংখ্য নদ-নদী, জলাশয়, পুকুর, বিলের এই বাংলাও তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। সবচেয়ে বড় প্রমাণ হচ্ছে, চলনবিল। চলনবিল ছিল উত্তরবঙ্গের একটা ফুসফুস। চলনবিলের মৎস্য সম্পদ সমৃদ্ধ ছিল। বর্ষার আগমনে একটা সাগরের মতো দেখাত। সেই উৎসটাও ধ্বংস হয়ে গেল। মাঝখান দিয়ে কংক্রিটের পথ হয়ে গেছে। দুই ধারে বাড়িঘর, ফসলি জমি—এগুলোর মালিকানা কার, তা-ও প্রশ্নবিদ্ধ।


বড় জলাশয়ের কোনো ব্যক্তিমালিকানা থাকা সম্ভব নয়। নদীর তো কোনো অভিভাবকই নেই। শ্বেতহস্তী নামধারী পানি উন্নয়ন বোর্ড অসংখ্য সেবায়েত বাহিনী নিয়ে অসহায় হয়ে থাকে ক্ষমতাসীনদের কাছে। ক্ষমতাসীনদের মতোই এই সেবায়েত বাহিনীও ফুলেফেঁপে ওঠে। নদী যে শুধু জলাধারসহ নানাভাবে জীবন বাঁচানো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত তা-ই নয়, প্রমাণ হলো তার দেহটাও মূল্যবান। বালু মূল্যবান সম্পদও বটে। নদীকে নাব্য রাখার কাজে একসময় ড্রেজার দিয়ে খনন করার প্রয়োজন ছিল। এখন দেখা যাচ্ছে, বালু তুলে তুলে নদীর প্রাণটাই হারিয়ে যাচ্ছে, নদীর ধারে ধারে এখন পাহাড়প্রমাণ বালুর স্তূপ। সেই বালুর মালিকানা রাষ্ট্রের। কিন্তু রাষ্ট্র সেখানে অসহায়। মালিকানা অবাধে চলে যাচ্ছে, বালুখেকো নামে খ্যাত ক্ষমতাবান কিছু লোকের হাতে।


এই ক্ষমতাবানেরা সরকার ও প্রশাসনের ছত্রচ্ছায়ায় ভাগাভাগি করে খাচ্ছে নিয়মিত। এ যেন তাদের রাষ্ট্র দখল করার পুরস্কার। যেখানে নদী পাওয়া যাচ্ছে না, সেখানে আছে পাহাড়। এতকাল চমৎকার একটা নিসর্গ উপহার দিয়ে, নানা ধরনের গাছগাছালি, লতাগুল্ম নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল এর গায়েও আঘাত পড়ল একদল হিংস্র নেকড়ের মতো মনুষ্যরূপী জানোয়ারের। ওরা পাহাড় কাটছে, পাহাড় ধসিয়ে দিচ্ছে। পাহাড়ের বন-জঙ্গল, সোনার মতো দামি কাষ্ঠ সম্পদ লুট হয়ে যাচ্ছে। এসব থেকে যে অর্থ আসে, তা গিয়ে জমা হয় ক্ষমতাসীনদের পকেটে। সৌম্যমূর্তি এসব মানুষ নামাজ, রোজা ও হজ করে সম্পদ বিদেশে পাচার করে বছরের পর বছর থিতু হয়ে বসে আছে।


অনেক দিন ধরেই দেখা যাচ্ছে, ওদের শকুনে চোখটা পড়েছে পাথরের ওপর। নদীর স্রোতে ভেসে আসা পাথর সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তে এসে জমা হয়। সেখানে কুড়ি বছর ধরে উপজেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর চোখের সামনেই এ খবর এসে থাকে। আসলে অর্থ উপায়ের সংস্কৃতিটাই এদের নেই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও