কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

একটি শহীদ স্মৃতিসৌধ ও একটি রাস্তার জন্য আর্তনাদ

প্রথম আলো নাদীম কাদির প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪৮

মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার আর মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের সূর্যসন্তান। এই বীর সন্তানদের জন্য আমরা কীই-বা করতে পারি। এই ভাবনা নিয়ে আমার গ্রামের বাড়িতে প্রায় ৫০ বছর পরে যেতে হলো কর্নেল কাদিরের জন্মস্থানে তাঁকে প্রতিষ্ঠিত করা, এই মানুষটির গৌরবময় জীবনকাহিনি সেখানকার দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য।


লেখার শেষের দিকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যে যা-ই বলুক, মুক্তিযুদ্ধ হঠাৎ করে শুরু হয়নি। এর পেছনে যে ইতিহাস আছে, তা জাতি এখনো সঠিকভাবে জানে না। এই সুযোগে সেই ইতিহাস নিয়ে দুয়েকটি কথা বলতে চাই।


বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন যে যদি যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করতে হয়, তাহলে শুধু সামরিক সাহায্য নয়, বরং তার সঙ্গে আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও কূটনীতির দরকার রয়েছে। এই যোগাযোগকে আমরা সবাই চিনি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা হিসেবে। যদিও কোনো একসময় এই মামলাটাকে ভিত্তিহীন বলা হয়েছিল এবং পাকিস্তানি শাসকেরা বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করতে বাধ্য হয়েছিল।


সাবেক ডেপুটি স্পিকার মরহুম কর্নেল শওকত আলী জাতীয় সংসদকে জানিয়েছিলেন, আগরতলায় যা ঘটেছিল, তা সম্পূর্ণভাবে সত্য ঘটনা, সেটি কোনো ষড়যন্ত্র ছিল না। সেটি ছিল বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন করার প্রথম বীজ বপন। বাকি ইতিহাস আমাদের জানা আছে।         


কর্নেল শওকত আমার পিতা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বুদ্ধিজীবী লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আবদুল কাদিরের বন্ধু। সেই সূত্র ধরে আমি তাঁর সঙ্গে দেখা করি এবং আগরতলার বিষয়ে পরিষ্কারভাবে জানতে চাই। কর্নেল শওকত আলী আমাকে সেদিন বলেছিলেন,‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ভিত্তিহীন ছিল না, তবে সেটা ষড়যন্ত্র না বরং বঙ্গবন্ধুর দেশ স্বাধীন করার ব্যাপারে সবচেয়ে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ ছিল।


১৯৬৮ সালে সামরিক শাসক আইয়ুব খানের শাসনামলে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক শেখ মুজিবুর রহমানসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের জন্য আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা করা হয়। এর পরের বছর পাকিস্তানি শাসকেরা গণজাগরণের মুখে বাধ্য হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দিতে।


শহীদ কর্নেল কাদিরের ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩-এর শেষের দিকে তাঁর স্ত্রী হাসনাহেনা কাদিরকে বলেন, তিনি এই বীর সেনা অফিসারকে চিনতেন এবং কেঁদে ফেললেন।


‘আমি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ার পরই ও (কর্নেল কাদির) আমার সঙ্গে দেখা করে এবং জানতে চায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে তার মতো সেনা অফিসারদের কী করণীয় আছে। খুবই বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী মেধাবী অফিসার ছিল।’ এই সাক্ষাতের সময় লেখক উপস্থিত ছিল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও