ওভারিয়ান ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই
আমরা ছোটবেলায় কবি সুকুমার বড়ুয়ার ছড়া গান শুনেছি।
“অসময়ে মেহমান ঘরে
ঢুকে বসে যান
বোঝালাম ঝামেলার যতগুলো দিক আছে
তিনি হেসে বললেন ঠিক আছে ঠিক আছে।”
ক্যান্সার সম্পর্কে বলতে হয় সে এক অসময়ের মেহমান। হঠাৎ করে আমাদের শরীরে চলে আসে এবং তাকে তাড়ানো খুবই কঠিন। কিছু দিনের জন্য হলেও সে থাকবে। যুদ্ধ শুরু হয় শরীর ও ক্যান্সারের সঙ্গে।
ক্যান্সার শরীরের সব জীবন্ত কোষেই হতে পারে। ধরনও বিভিন্ন, কোনটা খুব খারাপ আবার কোনটা তুলনামূলকভাবে অতটা খারাপ নয়। চিকিৎসা বিভিন্ন ধরনের, কেমোথেরাপি, সার্জারি, রেডিওথেরাপি, ইমিওনোথেরাপি, টার্গেটথেরাপি, ইন্টারপেরিটোনিয়াল কেমোথেরাপি ইত্যাদি।
ক্যান্সারের ধরনের উপর নির্ভর করে চিকিৎসা পদ্ধতির পরিকল্পনা করা হয়। কতটুকু পরিমাণ ওষুধ দিবেন, কতদিন দিবেন, কীভাবে দিবেন সবকিছুই চিকিৎসা শুরুর পূর্বের নির্ধারণ করে নিতে হয়, যা একজন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার করেন।
প্রত্যেক ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতির খারাপ প্রতিক্রিয়া আছে যাকে আমরা side effect বলি। অনেক সময় side effect গুলো মারাত্মক হতে পারে এবং যা মৃত্যুর কারণ হতে পারে। চিকিৎসা শুরুর আগে এগুলো ভালো করে বুঝে নিতে হবে যাতে সঠিক সময়ে সঠিক নিয়মে চিকিৎসা ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
ক্যান্সার চিকিৎসার ক্ষেত্রে অনেক সময় ভুলের কারণে আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটে বা বিলম্বিত হয়। আমাদের সবাইকে সেই জায়গাগুলো বুঝতে হবে যাতে আমরা দ্রুত এবং সঠিক চিকিৎসা পেতে পারি। আমরা জানি চিকিৎসা যত বিলম্বিত হবে ততই prognosis খারাপ হবে। তাই চিকিৎসা ক্ষেত্রে আমাদের কতগুলো জায়গা জায়গায় গুরুত্ব দিতে হবে।
Diagnosis: সঠিক রোগটা নির্ধারণ করা । বায়োপসি করা অর্থাৎ আক্রান্ত অংশ থেকে সামান্য একটি অংশ নিয়ে পরীক্ষা করা। এখানে ভুল হলে সবই বিফল হবে।
Treatment Plan: সঠিক চিকিৎসার পরিকল্পনা করা। কোন ধরনের ওষুধ, তার পরিমাণ ও কতদিন চলবে ইত্যাদি।
- ট্যাগ:
- মতামত
- ওভারিয়ান ক্যান্সার