বাংলাদেশ-ভারত: এগিয়ে পিছিয়ে

www.ajkerpatrika.com ড. মইনুল ইসলাম প্রকাশিত: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৮

আইএমএফের ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক’ ২০২০-এর প্রক্ষেপণ মোতাবেক ওই বছরের ডিসেম্বর নাগাদ মাথাপিছু নমিনাল জিডিপির হিসাবে বাংলাদেশ ভারতকে টপকে গেছে। মহামারির আঘাতে ভারতীয় অর্থনীতি ১০ দশমিক ৩ শতাংশ সংকুচিত হয়ে সে দেশের মাথাপিছু নমিনাল জিডিপি ২০১৯ সালের ২ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৮৭৭ ডলারে নেমে গিয়েছিল।


অন্যদিকে, বাংলাদেশের অর্থনীতি মহামারির আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও দ্রুত ক্ষতি কাটিয়ে উঠে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করে মাথাপিছু জিডিপিকে ১ হাজার ৮৮৮ ডলারে নিয়ে যাওয়ার কথা। ভারতীয়দের ‘সুপেরিয়রিটি কমপ্লেক্স’ ও মিথ্যা অহমিকাপ্রসূত ‘ইগো’ আইএমএফের এই পূর্বাভাসের ফলে মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।


২০২৩ সালের জুনে বাংলাদেশিদের মাথাপিছু জিএনআই ২ হাজার ৭৬৫ ডলারে পৌঁছেছে বলে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো তথ্য প্রকাশ করেছে। এই দাবি সত্য হলে এখনো বাংলাদেশের জনগণের মাথাপিছু জিএনআই ভারতীয়দের চেয়ে বেশি রয়ে গেছে। অবশ্য গত অর্থবছরে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার বাংলাদেশের চেয়ে বেশি ছিল।


অতএব বর্তমানে ভারত আবারও মাথাপিছু জিএনআইয়ের বিবেচনায় বাংলাদেশকে টপকে যেতেও পারে। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বছর কয়েক আগে বাংলাদেশিদের ‘উইপোকা’ বলে তাচ্ছিল্য করার পর বাংলাদেশিদের মাথাপিছু জিএনআই ভারতীয়দের মাথাপিছু জিএনআইকে টপকে যাওয়ার সম্ভাবনা হিন্দুত্ববাদী ভারতীয়দের অনেকের মারাত্মক বদহজম ও অনিদ্রা-ব্যামোর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।


কিন্তু এটা শুধু এক বছরের করোনাভাইরাস মহামারির অভিঘাত নয়। ২০১৭ সালেও ভারতের মাথাপিছু জিডিপি বাংলাদেশের চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি ছিল। এরপর পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ধারাবাহিকভাবে ভারতের চেয়ে অনেক বেশি হয়েছিল।২০২২ সাল থেকে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার আবার বাংলাদেশের চেয়ে বেশি হয়েছে।


আমি অবশ্য নমিনাল জিডিপি নিয়ে অতি-উচ্ছ্বসিত হব না। পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি (পিপিপি) ভিত্তিতে ২০২২ সালে ভারতের প্রাক্কলিত মাথাপিছু জিএনআই ৮ হাজার ২১০ পিপিপি ডলার, আর বাংলাদেশের ৬ হাজার ৮৯০ পিপিপি ডলার। এর মানে, ভারতে বেশির ভাগ পণ্য ও সেবার দাম বাংলাদেশের চেয়ে কম হওয়ায় ভারতের জনগণের জীবনযাত্রার মান বাংলাদেশের জনগণের জীবনযাত্রার মানের চেয়ে উঁচু। প্রথমেই ‘পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি’ বা ‘ক্রয়ক্ষমতার সমতা’ ব্যাপারটি ব্যাখ্যা করছি।


বিশ্বের দেশে দেশে যেহেতু বিভিন্ন পণ্য ও সেবার দাম কম-বেশি হয়, সে জন্য বিভিন্ন দেশের জনগণের জীবনযাত্রার মানকে তুলনীয় করার জন্য পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে নমিনাল জিডিপিকে ‘পিপিপি ডলারে জিডিপি’তে রূপান্তরিত করা হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও