বাংলাদেশের নির্বাচন ও পরবর্তী পরিস্থিতি

প্রথম আলো পঙ্কজ সরণ প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:০১

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেমনটি ধারণা করা হচ্ছিল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি পঞ্চম মেয়াদে ক্ষমতা ধরে রাখলেন।


১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রথম মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পরে ২০০৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত টানা তিন মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সুষ্ঠু হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। এ নির্বাচন ঘিরে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানিয়েছিল। তবে তাদের সে দাবি মেনে নেওয়া হয়নি।


শেষ পর্যন্ত নির্বাচন বর্জনের পথে হাঁটে দলটি। তবে সরকার নিজেদের দিক থেকে সংবিধান মেনে চলার সিদ্ধান্ত নেয় এবং নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যায়। নির্বাচনপ্রক্রিয়া যেন নাশকতা বা রাজপথে কোনো ধরনের সহিংসতার জেরে বাধাগ্রস্ত না হয়, তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপও নেওয়া হয়।

৭ জানুয়ারির নির্বাচন ত্রুটিমুক্ত ছিল না। বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ নিলে, মানুষ নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেওয়ার সুযোগ পেত। আর সেটা তাদের অধিকার। বিএনপির নির্বাচন বর্জনটা ছিল দুর্ভাগ্যজনক এবং গণতান্ত্রিক রীতির যে চেতনা, তার পরিপন্থী। কারণ, কোনো দেশে রাজনৈতিক বিরোধী থাকার অর্থ হলো, সরকারকে চ্যালেঞ্জ করা এবং ভোটারদের সামনে বিকল্প পথ তুলে ধরা। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ না নিলে রাজনৈতিক দলগুলো টিকে থাকতে পারে না। বিএনপি মনে হচ্ছে পথ হারিয়েছে এবং দলটি কী লক্ষ্য অর্জন করতে চায়, তা-ও স্পষ্ট নয়।


এমন পরিস্থিতিতে যে প্রশ্নটি সামনে আসছে, তা হলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা এবং দেশের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত একটি সরকারকাঠামো। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে চীন ও রাশিয়ার কথা। তারা যে গণতন্ত্রের দাবি করে, তা পশ্চিমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। ইরানের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ইতিহাস রয়েছে। তবে ইরানের শাহের সঙ্গে কাজ করে পশ্চিমারা যে স্বাচ্ছন্দ্য পেত, তা হারানোর অসন্তোষ তাদের এখনো আছে। ইরানে বর্তমানের নির্বাচনী ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যে ফলাফল আসছে, তা-ও পশ্চিমাদের পছন্দ নয়।


মিসরে একমাত্র অবাধ ও সুষ্ঠু যে নির্বাচন হয়েছিল, তাতে মুসলিম ব্রাদারহুড জয় পেয়েছিল। তবে পশ্চিমাদের যোগসাজশে সেই দেশে দ্রুতই গণতন্ত্রকে দমন করা হয়। তখন থেকেই মিসর সামরিক একনায়কতন্ত্রের দিকে ফিরে গেছে, যারা পশ্চিমাদের প্রতি বন্ধুত্বসুলভ। বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের ‘গণতন্ত্রের’ উদাহরণ রয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও