কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

রাজনৈতিক অস্থিরতা ও গ্রামীণ অর্থনীতি

www.ajkerpatrika.com আবু তাহের খান প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৯

গত ২৭ ডিসেম্বর প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘আয় ও খানা জরিপ ২০২২’ প্রতিবেদনের তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে, দেশের সর্বাধিক দারিদ্র্যপীড়িত বিভাগ এখন বরিশাল, যেখানে দারিদ্র্যের হার ২৬ দশমিক ৯ শতাংশ। বরিশাল বিভাগে ২০১৬ সালে দারিদ্র্যের হার ছিল ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ; অর্থাৎ ছয় বছরের ব্যবধানে সেখানে এই হার দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। ছয় বছরে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে সিলেট বিভাগেও। উল্লিখিত তথ্য প্রমাণ করে, দেশে সার্বিক দারিদ্র্যের হার কমলেও কোনো কোনো অঞ্চলে বা গ্রামের একটি বড় অংশে ছয় বছরে তা আরও বেড়ে গেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এমনটি কেন ঘটল?


ছয় বছরে বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের কোনো কোনো অংশে দারিদ্র্য না কমে কেন বেড়ে গেল, এর নানাবিধ কারণ থাকতে পারে। একটি বড় কারণ অবশ্যই রাজনৈতিক অস্থিরতা—দ্বন্দ্ব ও পারস্পরিক বৈরিতায় দেশের অর্থনীতি-সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তগুলো বৃহত্তর গ্রামীণ মানুষের স্বার্থের প্রতি যথেষ্ট দৃষ্টি ও মনোযোগ দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আর সেই ব্যর্থতার জেরে দারিদ্র্যের হাত ধরে সেখানে বেড়েছে খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা এবং আয়বৈষম্যও।


৩১ ডিসেম্বর প্রকাশিত ‘খাদ্যনিরাপত্তা পরিসংখ্যান ২০২৩’-এর তথ্য জানাচ্ছে, গড়ে দেশের প্রায় ২২ শতাংশ মানুষ বর্তমানে খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভুগছেন খাদ্যোৎপাদনকারী কৃষক। আর তাঁদের মধ্যে এই হার ৩০ শতাংশ, যা এ-সংক্রান্ত জাতীয় গড় হারের চেয়ে ৮ শতাংশ বেশি। বস্তুত রাষ্ট্রের নীতিকাঠামোয় গ্রামের প্রতি যে বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গি বিরাজ করছে, সেটি থেকেই কৃষকের মধ্যে বর্ধিত হারের এ খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার সৃষ্টি হয়েছে।


অন্যদিকে, বৈষম্যের মাত্রা কতটা বেড়েছে, এর তথ্যও রয়েছে আয় ও খানা জরিপ প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, দেশের মাত্র ১০ শতাংশ মানুষ এখন দখল করে আছে সমগ্র জাতীয় আয়ের প্রায় ৪১ শতাংশ; তো রাষ্ট্রীয় নীতি, পৃষ্ঠপোষকতা ও সমর্থনে সৃষ্ট এই যে বৈষম্য, দীর্ঘদিন ধরে বিরাজমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, সেটিকে ক্রমান্বয়ে আরও বহুলাংশে বাড়িয়ে তুলেছে এবং এরই প্রতিফলন ঘটেছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিবিএসের জরিপে।


বৈষম্য বৃদ্ধির সুবাদে সর্বাধিক মাত্রায় ও হারে এবং সবচেয়ে আগে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে গ্রামের মানুষ, যারা এখন পর্যন্ত দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ গ্রামীণ মানুষ যদি এরূপ ক্রমবর্ধমান হারে দারিদ্র্য, আয়বৈষম্য ও খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার শিকার হতে থাকে, তাহলে প্রকারান্তরে তা দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকেই চরম ভোগান্তিতে ফেলে দেয় নাকি? আর যে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেশে বিরাজমান রয়েছে তা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে এই ভোগান্তির মাত্রা নিকট ভবিষ্যতে আরও বেড়ে যাবে নাকি?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও