রাজনীতির চোরাবালি ও আমাদের শিক্ষা

যুগান্তর ড. হাসনান আহমেদ প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৫২

সকালের পত্রিকায়ই পড়লাম নির্বাচনে ভোটপ্রার্থীদের কর্মীদের মধ্যে অনেক জায়গায় মারামারি শুরু হয়ে গেছে, রীতিমতো কোপাকুপি। আমরা এদেশে জন-মানসিকতাকে দুভাগে ভাগ করতে পারি-১. স্বাভাবিক মানসিকতা ও ২. রাজনৈতিক বিকৃত মানসিকতা। যারা আমজনতা, কারও সাতে-পাঁচে নেই, ‘অন্ন চিন্তা চমৎকার’-তাদের স্বাভাবিক মানসিকতার ধারক বলে মেনে নেওয়া যায়। রাজনৈতিক মানসিকতার ধারকদের কাণ্ডজ্ঞান ও ঐচিত্যবোধ বলতে কিছুই থাকে না। রাজনৈতিক সভায় চেয়ারে বসা নিয়েই লঙ্কাকাণ্ড ঘটে যায়। এমনই হাজারও অব্যবস্থাপনা ও জিঘাংসা নিত্য ঘটে। এসবই রাজনৈতিক বিকৃত মানসিকতা। আমরা জানি, আগামী মাসে নির্বাচনের দিন ধার্য করা হয়েছে। দেখছি নির্বাচন প্রতিযোগিতা, আসন ভাগাভাগি ইতোমধ্যেই শেষ। তাহলে কেন আবার এ নিয়ে মারামারি? কেন এ প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ?


অনুসন্ধিৎসু পাঠকমহল আমাকে জানেন, আমি এদেশের রাজনৈতিক দলের এহেন মানসিকতাকে ভালো চোখে কোনোদিনই দেখিনি। এগুলোকে ভালো চোখে দেখতে গেলে আগে আমার পেশা বদল করতে হবে। এসবের জন্য আমি রাজনীতিকে দায়ী করি না, দায়ী করি ‘মহান রাজনীতিক’দের মানসিকতাকে। এ ধরনের রাজনৈক মানসিকতার লোকে পুরো দেশটা ছেয়ে গেছে। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে ‘মুখে এক, অন্তরে আরেক’ কিসিমের লোকের সমারোহ। রাজনীতি ও নির্বাচন যে পথে গেছে, এদেশের সমাজ, সামাজিক শিক্ষাও সে পথে গেছে। সমাজ ও সামাজিক শিক্ষার পিছু পিছু চলেছে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। শিক্ষা নিয়ে আজ কিছু লিখতে চেয়েছিলাম। অনেকেই পত্রিকায় তাদের বিভিন্ন মতামত এ নিয়ে প্রকাশ করে চলেছেন। আমারও সে ইচ্ছা। এতক্ষণে যা লিখেছি, তা মূলত গৌরচন্দ্রিকা।


রাজনীতির ধরন-ধারণ, সমাজ ও সামাজিক শিক্ষার সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সরাসরি সহগামী সম্পর্ক আছে। রাজনীতি ও সামাজিক শিক্ষা যত নিচে নামবে, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার গতিও সেদিকে যাবে। রাজনৈতিক বিকৃত মানসিকতার অস্তিত্ব এদেশে অবস্থান করলে শিক্ষার মান কোনোদিনই বাড়বে না, এ কথা নির্ভেজাল সত্য। বিকৃত মানসিকতার চর্চা যতদিন থাকবে-শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস, টাকার বিনিময়ে অযোগ্য দলীয় লোকের নিয়োগ-বাণিজ্য, স্বজনপ্রীতি ততদিন থাকবে। আইনের শাসন যতদিন এদেশে ফিরে না আসবে, শিক্ষা ভালো পথে ফিরে আসতে পারে না, তা আমরা যত হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেই শিক্ষানীতি তৈরি করি না কেন। আমি এসব কথা বলে পরিবেশকে বোঝাতে চাচ্ছি। সুস্থ পরিবেশের সঙ্গে শিক্ষার উন্নয়ন ওতপ্রোতভাবে জড়িত।


আমি সব সময় জীবনের বাস্তবতা দিয়ে উদাহরণ দেই। একজন শিক্ষক হয়ে যত জায়গায়ই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা সমাজকর্মে সুনীতি প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছি, দুর্নীতিবাজরাই দুর্নীতি করে আমাকে আবার পালটা দুর্নীতিবাজ বলে পিছু হটিয়েছে। বর্তমানেও এমনই একটা সমাজ কর্ম করতে গিয়ে মানসম্মান ও নীতি নিয়ে সরে আসা দায় হয়ে উঠেছে। এ অবস্থা সর্বত্র। সমাজে বসবাসরত অধিকাংশ মানুষ লা-জবাবি হয়ে চেয়ে চেয়ে দেখছে। প্রতিবাদে এগিয়ে আসে না। অথচ ভালো ফল পেতে চায়। যে সমাজে জাগ্রত বিবেক বোধের দংশন নেই, দেশজুড়ে অন্যায়-অবিচারের দৌরাত্ম্য, রাজনৈতিক বিকৃত পরিবেশ থেকে অন্যায়-অবিচার সে সমাজের লোকজন প্রকাশ্য শিখছে। সেখানে ন্যায় ও সুশিক্ষা কীভাবে প্রতিষ্ঠা করবেন? দিন যত যাচ্ছে, সামাজিক সুশিক্ষার পরিবেশ, সুস্থ চিন্তার বিকাশ তত উচ্ছন্নে যাচ্ছে। আমরা নিজের জাগ্রত বিবেককে বিসর্জন দিয়ে কোনো ব্যক্তিস্বার্থ বা রাজনীতির ধামাধরা হয়ে বসে আছি। সব অন্যায়-অপরাধ ওপেন-সিক্রেট হয়ে গেছে। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও