
বিএনপির প্রতিষ্ঠা এবং আজকের রাজনীতি
১৯৭১ সালে সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত অবস্থায় স্বাধীনতাযুদ্ধে নামতে হয়েছে আমাদের। এমনকি স্বাধীনতার ঘোষণাও দিতে পারেনি আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব। মেজর জিয়া যখন তার পরিবারকে চরম বিপদের ঝুঁকিতে ফেলে স্বাধীনতা ঘোষণা করছেন, তখন আওয়ামী নেতৃত্ব আত্মসমর্পণ আর পলায়নে ব্যস্ত, কেউবা বিমানে পাকিস্তানের দিকে, কেউবা মেহেরপুরের পথে। আর তরুণ নেতৃত্ব বুড়িগঙ্গার ওপারে মোস্তফা মোহসিন মন্টুর বাসায় জিয়ার বেতার ঘোষণা শুনছেন। ওদিকে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে নিরস্ত্র মানুষের লাশের স্তূপ জমছে দেশের সব প্রান্তে। সংগঠিত হয়ে এদেশের মুক্তিকামী তরুণরা গেরিলা যুদ্ধের পালটা চোরাগুপ্তা আক্রমণ নিয়ে মাঠে আসতে আসতে মে-জুনে গড়িয়েছে। তবে সেই তরুণদের মাঝে আওয়ামী, ছাত্রলীগ, যুবলীগ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা ছিল নিছক অপচেষ্টা। তারা তখন জেনারেল উবানের ‘ডিমতত্ত্বের’ বাস্তবায়নে নৈনিতাল, দেরাদুনের নাতিশীতোষ্ণ পাহাড়ে প্রশিক্ষণরত। বাংলাদেশে পথেপ্রান্তরে যুদ্ধ করেছে দেশের সাধারণ ছাত্র-শ্রমিক কৃষক এরাই। তারপরও সবকিছু ভুলে শুধু স্বাধীনতার আকর্ষণে দেশের মানুষের অবিশ্বাস্য ঐক্যই সম্ভব করেছে ডিসেম্বরের বিজয়।