কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সাড়া মিলবে কি অসহযোগ আন্দোলনের ডাকে?

জাগো নিউজ ২৪ মোস্তফা হোসেইন প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৫০

সরকার বিরোধী আন্দোলনে হরতাল-অবরোধের সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে অসহযোগ। আহ্বান জানানো হয়েছে, প্রশাসন যেন সরকারের নির্দেশ পালন না করে, সাধারণ মানুষ যেন খাজনা- ট্যাক্স বন্ধ করে দেয়। গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিলও যেন না দেয়। এমনকি যারা নির্বাচন পরিচালনা কাজে নিয়োজিত তারাও যেন কাজ বন্ধ করে দেয়।


অসহযোগ আন্দোলনে এসব কথাই থাকে। প্রশ্ন আসে রাজনৈতিক পরিবেশ পরিস্থিতি কি অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে? আমরা এই প্রসঙ্গে অতীতের উদাহরণকে সামনে আনতে পারি।


মহাশক্তিধর ইংরেজ সরকারের টনক নাড়িয়ে দিয়েছিলো মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলন। ১৯১৮ সালে মহাত্মা গান্ধী দেখিয়ে দিয়েছিলেন ভারতবর্ষের গরিব কৃষকরাও কীভাবে ব্রিটিশ শাসকদেরও নতি স্বীকার করতে বাধ্য করাতে পারে। বিহারের চম্পারণ ও গুজরাটের খেদায় মহাত্মা গান্ধীর ডাকে সাধারণ মানুষ ব্রিটিশ সরকারকে অসহযোগিতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।


মহাত্মা গান্ধীর সেই অসহযোগ আন্দোলন, সত্যাগ্রহ কিংবা ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কিংবা প্রত্যক্ষদর্শীদের কেউ জীবিত আছে বলে জানা নেই। কিন্তু ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে অসহযোগ আন্দোলনের সেরাকর্মী,অংশগ্রহণকারী এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই জীবিত আছেন। রাজনীতির চূড়ান্ত আন্দোলন এই অসহযোগ যে কেমন ভূমিকা রাখে আর কেমন নেতা হলে সেই ডাক দিতে পারেন, তা বোধ করি একাত্তরের সেই দিনগুলোর প্রতিটি অংশগ্রহণকারী ও প্রত্যক্ষদর্শী ভালো করে জানেন।


মহাত্মা গান্ধীর আন্দোলনকালে ভারতবর্ষ দারিদ্র্যনিপীড়িত অঞ্চল ছিলো। অধিকাংশই ছিলো গরিব কৃষক শ্রেণির। সরকারের অর্থনৈতিক ভরসাস্থলও অধিকাংশই কৃষক সমাজই ছিলো। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের অর্থনৈতিক সঞ্চালনার মূলসূত্র ছিলো এই গরিব মানুষগুলো। কিন্তু প্রায় দুর্ভিক্ষাবস্থা বিরাজ করায় গত শতাব্দীর দুই এর দশকের দ্বারপ্রান্তে সাধারণ মানুষ খাদ্য উৎপাদনকে তাদের কৃষি ব্যবস্থায় প্রধান হিসেবে গ্রহণ করে। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার চাইলো তারা নীল চাষ করবে, তামাক ও তুলা চাষ করবে। কৃষকদের তখন চোখেমুখে সর্ষে ফুল দেখার মতো অবস্থা।


ওই গরিব কৃষকদের দুর্যোগকালে অনেকটা ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন মহাত্মা গান্ধী। ওই গরিব মানুষগুলোকে নিয়ে তিনি ডাক দিলেন ব্রিটিশ সরকারের আইন অমান্য করতে হবে। মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন জানালো মহাত্মা গান্ধীকে। ঈর্ষণীয় ক্ষমতার মালিক ব্রিটিশ সরকার নতি স্বীকার করতে বাধ্য হলো। চুক্তি করতে বাধ্য হলো, যাতে কৃষকরা নিজেদের ইচ্ছা মতো ফসল উৎপাদন করতে পারবে। দুর্ভিক্ষপীড়িত এলাকায় কর মওকুফ করা হলো। যেসব জমি সরকার বাজেয়াপ্ত করেছিলো সেগুলোও ফেরৎ দেওয়া হলো। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের এত বড় পরাজয় বোধ করি এর পর আর হয়নি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও