কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বিএনপির তফসিলবিরোধী আন্দোলন

www.ajkerpatrika.com মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী প্রকাশিত: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:০৬

গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হয়েছে। ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। ২ হাজার ৭৪১ জন প্রার্থী তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ৪ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই শেষে বৈধতা পেয়েছেন ১ হাজার ৯৬৫ জন প্রার্থী। ৭৩১ জনের মনোনয়নপত্র ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় বাতিল করা হয়েছে। এসব আবেদনপত্রের এখন শুনানি চলছে। তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে অবস্থান করছে দেশ। ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। আগামী ৭ জানুয়ারি তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।


বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনকারীরা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে তারা ঘোষিত তফসিল বাতিলের দাবি নিয়ে মাঠে আন্দোলন করছে। সপ্তাহে চার দিন হরতাল বা অবরোধ ডাকা হচ্ছে।


কিন্তু এসব হরতাল বা অবরোধ শুরু থেকেই ঢিলেঢালাভাবে পালিত হচ্ছিল। এখন যানবাহন, অফিস-আদালত, দোকানপাট অনেকটাই স্বাভাবিক আছে। তবে বিএনপি গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে মাঠে সক্রিয়ভাবে নেই। অনেক নেতাই কারাগারে, আবার অনেকে আত্মগোপনে আছেন। বিএনপির অঙ্গসংগঠন ছাত্রদল ও যুবদলের কিছু কিছু ঝটিকা মিছিল হতে দেখা যাচ্ছে। ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় কিছু কিছু যাত্রীবাহী বাস এবং পণ্য পরিবাহী ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে, ট্রেনেও করা হয়েছে। তাতে জনমনে কিছুটা ভীতি আছে।


যাত্রীবাহী বাস কিছুটা পরিহার করা হচ্ছে। এসব অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত অনেককেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। সে কারণে বিএনপি হরতাল ও অবরোধে মাঠে খুব একটা সক্রিয় নেই।


প্রেসক্লাব, বিজয়নগর সড়ক, তোপখানা রোডে গণতন্ত্র মঞ্চ এবং অন্যান্য দলের স্বল্পসংখ্যক নেতা-কর্মীকে মিছিল ও বক্তৃতা করতে দেখা যায়। বিএনপির মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভী আহমেদ অনলাইনে প্রতিদিন আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, তাঁদের চলমান আন্দোলন সফল হবে, নির্বাচন প্রতিহত করা হবে। কিন্তু সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছে না, বিএনপি কীভাবে নির্বাচন প্রতিহত করবে।


রাজনীতিসচেতন মানুষ মনে করছে, বিএনপির সঙ্গে যেহেতু জামায়াতে ইসলামীসহ আরও কিছু ইসলামি রাজনৈতিক দল রয়েছে, তাই এদের সবার সম্মিলিত শক্তি দিয়ে নির্বাচনের আগে আগে নির্বাচন পণ্ড করার জন্য তারা বড় ধরনের কোনো সহিংসতা করতে পারে। এরই মধ্যে কিছু কিছু জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। ককটেল বানানোর সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে ধরাও হয়েছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে, ভেতরে-ভেতরে নির্বাচনের আগমুহূর্তে সহিংস হয়ে ওঠার মতো কোনো ঘটনা ঘটতেও পারে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও