কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ‍ = ?

www.ajkerpatrika.com অরুণ কর্মকার প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৭

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপি ছাড়াই অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে এখন ধরে নেওয়া যায়। যদিও তা এখনো শতভাগ নিশ্চিত নয়। কারণ তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ এখনো আছে। তারপরও ধরে নেওয়ার কারণ সেই সুযোগ কাজে লাগানোর ন্যূনতম কোনো লক্ষণ বিএনপির মধ্যে এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। বরং তারা আছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সপ্তাহে চার দিন অবরোধ ডাকার আন্দোলনে। আগামীকাল রোববার থেকে আবার দুই দিনের অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়েছে।


ওদিকে নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী অংশগ্রহণের সময়সীমা শেষ হয়ে এসেছে। বিএনপির সমমনা কোনো কোনো দল নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইবরাহিমের কল্যাণ পার্টি এবং তাঁর নেতৃত্বাধীন নবগঠিত জোট যুক্তফ্রন্টের কথা এ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য। একই ধারার আরও কোনো কোনো দল একই রকম সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে প্রচার আছে।


জাতীয় পার্টি সব রকম দ্বিধাদ্বন্দ্ব পরিত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে এবং দলীয় প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে। তৃণমূল বিএনপি আরও আগে থেকেই নির্বাচনের প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। বিএনপির অনেক নেতাও স্বতন্ত্র কিংবা অন্য কোনো দল বা জোটের পরিচয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে জামায়াতের কথাও। তাদের নেতারাও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। শ দেড়েক আসনে বিএনপি-জামায়াতের এ রকম প্রার্থী থাকতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, এ রকম প্রার্থীর সংখ্যা যাতে বেশি হয়, সে জন্য সরকারের উদ্যোগ এবং চাপ আছে।


আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল তো নির্বাচনমুখী আছেই। রয়েছে বিকল্পধারা এবং কয়েকটি ইসলামি দলও। সুতরাং সব মিলে আগামী নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ ভালোই হচ্ছে। এরপর যদি ভোটারের উপস্থিতি বাড়ানো যায়, তাহলে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক না বলার জোরালো কোনো যুক্তি থাকবে বলে মনে হয় না। আর নির্বাচন কতটা সৃষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে তা নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে বলার বিষয় নয়। তবে ধারণা করা যায়, দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকার নির্বাচন কমিশনকে সর্বোচ্চ সহায়তা দেবে। বিএনপিসহ নির্বাচনবিমুখ দলগুলো তাদের পূর্বঘোষণা অনুযায়ী নির্বাচন ঠেকাতে পারবে বলে মনে হয় না।


এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সবই তো হলো। কিন্তু সারা দেশে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বিতার যে ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়ে আছে এর ফলাফল কী হবে? দলের পক্ষ থেকে প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার ৩০০। দলটির মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৩৬২টি। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন প্রার্থী একাধিক আসনের জন্য মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। হিসাব অনুযায়ী, প্রতিটি আসনের জন্য মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ১১ জন। তবে ২০১৮ সালের তুলনায় এবার প্রায় সাড়ে ৭০০ ফরম কম বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও