ইলিশ-বারণ ইলিশ-বরণ

প্রথম আলো গওহার নঈম ওয়ারা প্রকাশিত: ০৭ নভেম্বর ২০২৩, ১৫:৩৩

ইলিশ-বারণ পর্ব শেষে ইলিশ-বরণ পর্ব শুরু হয়েছে। জাল-নৌকা নিয়ে আবার সাগরে, গহিন গাঙে ছুটছে মহাজনের কেনা ‘জলদাস’ আর বাধ্য শ্রমিক জেলের দল। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) মধ্যরাত থেকেই কোনো কোনো জেলে নৌকা ও মাঝিমাল্লা নিয়ে রাতেই মাছ শিকারে নেমে পড়েন। কেউ আবার ভোররাত থেকে শুরু করেন মাছ শিকার।


লক্ষ্মীপুর অঞ্চলের চর রমণীমোহনের মোনাজাত ফকিরের (ছদ্মনাম) যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তিনি এখন জেলে। নদীর ঘাট থেকে তাঁকে ধরে নিয়ে যান ভ্রাম্যমাণ আদালত। অপরাধ, ‘পুলিশের কাজে বাধা’, আইন অমান্য ইত্যাদি। তাঁর কাছে মাছ না পেলেও জাল পাওয়া গিয়েছিল। মোনাজাত ফকিরের বয়স ২০-২২; এটাই সাগরে আর উত্তাল মোহনায় যাওয়ার বয়স। যৌবনেই নাকি মানুষ যুদ্ধে যায়। ইলিশ ধরা যুদ্ধের চেয়ে কম কিছু নয়।


মোনাজাতের বাবা আসর উদ্দিন ফকিরের বয়স ৫৮ পার হয়েছে। তাঁর সঙ্গে কথা হয় ইলিশ–বরণ পর্ব শুরুর রাতে। মোনাজাতের বদলি হিসেবে তিনিই যাচ্ছেন এবার ট্রলারে। যৌবন না থাকলেও তাঁর উপায় নেই। যৌবনকালে দুবার ‘নৌকা ডুবা খাইছেন, দরিয়া–তুফানকে ডরাইতেন না।’ এখন গতরে জোর নেই, মনের জোরেই চলছেন। ছেলে কবে ছাড়া পাবেন, জানা নেই। ‘ট্রিপ’ ফেল করলে মহাজন ছাড়বেন না।


কত জেলে এখনো জেলখানায়


সঠিক হিসাব কার কাছে আছে, কেউ জানেন না। ট্রলারমালিক বা মহাজনদের হিসাবের সঙ্গে শ্রমিকদের হিসাব মেলে না। কারাগারের হিসাব আবার ভিন্ন। শুধু চাঁদপুরেই গত ২২ দিনে ৩৭৪ জেলের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। চাঁদপুর জেলা মৎস্য বিভাগের এক সংবাদ বিবৃতিতেও একই হিসাব পাওয়া যায়। চাঁদপুরের নৌসীমার (মেঘনা উপকূলীয় সদর, মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ ও হাইমচর) মধ্যে আটক সবাই যে চাঁদপুর জেলার বাসিন্দা নন। অনেকের পরিবার হয়তো খবরও জানে না। জামিনে মুক্তি, এসব শব্দ তাদের জানা নেই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও