রাজনীতির এলোমেলো সমীকরণ
২৮ অক্টোবর, ২০২৩-এর পর রাজনীতির সম্ভাব্য সমীকরণ এলোমেলো হয়ে উঠেছে। বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব ধারাবাহিকভাবে গ্রেপ্তার হচ্ছেন, অজ্ঞাত স্থান থেকে বিএনপির পক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন একদিকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, আরেক দিকে সংলাপের কথাও বলছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সব ধরনের সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে শান্তি সমাবেশের নামে শক্তির মহড়া দিয়ে চলেছে।
২৮ অক্টোবর রাজধানীতে কী ঘটেছিল– তা নিয়ে সরকারি ও বিরোধী বিএনপির বক্তব্য বিপরীতধর্মী। তবে বক্তব্য যা-ই থাকুক, সরল কয়েকটি প্রশ্ন করতেই হয়। সেদিন এত বিপুল-বিরাট একটি মহাসমাবেশ শান্তি বজায় রেখে করতে দেওয়া হলো না কেন? রাস্তার এক প্রান্তে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ শুরু হলে, অন্য প্রান্তে বিশাল সমাবেশের দিকে কেন তাড়া করল পুলিশ? সেদিন পুলিশ কি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে যথাযথ ভূমিকা পালন করেছে? যে পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো, তার পূর্বাপর বিশ্লেষণে কী পাওয়া যায়? সন্ত্রাসী-ঘাতকরা মহাসমাবেশ শুরুর আগে কেন পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে নিহত করবে? বিএনপির যে কর্মী নিহত হলেন, তাঁর খুনি কারা? সেদিন পূর্ব অনুমতি গ্রহণ না করইে জামায়াত নির্বিঘ্নে কেন সমাবেশ করতে পারল?
বিএনপি মহাসমাবেশ করতে না পারায় ফলাফলে দেখা যায়– ২৮ অক্টোবরের পরপর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে সহিংসতা উস্কে দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। গত দেড় বছর আমরা দেখেছি, মির্জা ফখরুল চূড়ান্ত অহিংস ও শান্তিমূলকভাবে দেশব্যাপী একের পর এক রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে বিএনপিকে নেতৃত্ব দিয়ে রাজধানীকেন্দ্রিক চূড়ান্ত কর্মসূচির দিকে যাচ্ছিলেন। তিনি কেন নিজের দলের মহাসমাবেশের দিন আচমকা প্রধান বিচারপতির বাসভবন, হাসপাতালসহ সাংবাদিকদের ওপর হামলায় উস্কে দিতে চাইবেন? নিজে বক্তৃতাটা পর্যন্ত দিতে অপারগ হবেন?