কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


মতপার্থক্য কাটিয়ে ওঠার জন্য দরকার সদিচ্ছা

আজকের পত্রিকা: বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে কীভাবে দেখছেন?
আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক: রাজনীতি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হয়। আমরা স্বাধীনতার পর থেকে বহু চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজকের এ জায়গায় পৌঁছেছি। এখান থেকে আমরা বলতে পারি, দেশটি একটি স্থিতিশীল পর্যায়ে আছে। কিন্তু এটাও একটা বাস্তবতা যে পঁচাত্তর সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যে সুবিধাভোগী একটি শ্রেণি সৃষ্টি হয়েছিল, তারাই আবার জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে। সেই গোষ্ঠীই এখন পর্যন্ত নানা অপতৎপরতায় লিপ্ত। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে মারার চেষ্টা করা হয়েছে। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট একই সময়ে প্রায় সব জেলায় বোমা ফাটানো হয়েছে। মৌলবাদী ও জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীকে নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করা হয়েছে। বিগত সময়ে এ ধরনের নানা অপতৎপরতা আমরা লক্ষ করেছি। স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আমরা এগিয়ে যেতে চাই, সেখানে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। কিন্তু তারা সেসব অপতৎপরতা একটি রাজনৈতিক পার্টির মাধ্যমে করছে।

আমরা যখন কথা বলছি, তখন আমরা জানি যে দেশে এখন কী অবস্থা বিদ্যমান? ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে যেভাবে একটি যড়যন্ত্রকারী চক্র দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য একজন পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করেছে, গাড়ি ও হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ করেছে, প্রধান বিচারপতির বাসা আক্রমণ করেছে এবং সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে, বাইডেনের তথাকথিত উপদেষ্টা সাজিয়ে তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বসিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে—এতে বোঝা যায়, দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য কত ধরনের চক্রান্ত করা হচ্ছে। সেই জায়গাগুলো ধরে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার জন্য সামনে এগিয়ে যাওয়াই হবে দেশের সব মানুষের প্রত্যাশা। এ ক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ আমাদের দরকার।একটি দেশে নানা পথ, মত, দর্শন ও আদর্শ থাকবে, তবে স্বাধীন দেশে স্বাধীনতাবিরোধী কোনো চক্র তাদের দর্শন, আদর্শ নিয়ে কাজ করবে—সেটা কারও কাম্য নয়।

আজকের পত্রিকা: সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ অনিশ্চিত। নির্বাচনকেন্দ্রিক এই সংকটের কি কোনো সমাধান নেই?
আরেফিন সিদ্দিক: আমরা নিশ্চয়ই মুক্তি পাব। এই মুক্তি পাওয়ার শর্তটি হচ্ছে, ন্যূনতম ঐক্যের জায়গায় পৌঁছানো। এ ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে কীভাবে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব, সেটাও ভাবার বিষয়। যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল, তারাই আবার এ দেশকে পেছনে নিয়ে যেতে চায়। তাহলে তো আমরা এগিয়ে যেতে পারব না।

আর পাঁচ বছর পর পর যে সংকটের মধ্যে পড়ি, তা থেকে মুক্তি পাওয়াও কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। এ ক্ষেত্রে ন্যূনতম ঐক্যের দরকার। পৃথিবীর কোথাও, কোনো দেশে সে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরোধী রাজনৈতিক দল খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু দুঃখজনক হলো, এটাই আমাদের দেশে আছে।

তারপরও আমি আশা করি, নবীন প্রজন্ম এখন সার্বিকভাবে দেশ ও পৃথিবী সম্পর্কে অনেক বেশি অবগত। তারা যখন এ দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জায়গায় আসবে, তখন নিশ্চয় এ দেশের অনেক কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। তখন প্রত্যেকেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করবে। আমরা সেই দিনের প্রতীক্ষায় আছি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন