দারিদ্র্য ও অসমতা নিরসনে নিশ্চিত হোক সকলের মর্যাদা

বিডি নিউজ ২৪ উপমা মাহবুব প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২৩, ১৮:৪৪

প্রতিবছর ১৭ই অক্টোবর আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য বিমোচন দিবস পালিত হয়। দিনটিকে কেন্দ্র করে দারিদ্র্যকে কীভাবে নির্মূল করা যায় এ বিষয়ে অনেক আলাপ-আলোচনা হয়। এসব আলোচনায় প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর কথাও উঠে আসে। দারিদ্র্য বিমোচনে দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। তারপরও এটা দুঃখজনক যে, এ বছরের দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘উপযুক্ত কাজ এবং সামাজিক সুরক্ষা: সবার জন্য মর্যাদার নিশ্চয়তা’ (Decent Work and Social Protection: Putting Dignity in Practice for All)-এর আলোকে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায়, তাদেরকে দারিদ্র্য এবং অসমতা থেকে বের করে এনে সম্মানজনক জীবন দেয়ার ক্ষেত্রে আমরা এখনও অনেক পিছিয়ে।


প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বিষয়ক জাতীয় পরিসংখ্যান ২০২১ অনুযায়ী, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ২.৮০ শতাংশ জনগোষ্ঠীর অন্তত এক ধরনের প্রতিবন্ধিতা আছে। ৭.১৪ শতাংশ জনসংখ্যার ফাংশনাল (functional) প্রতিবন্ধিতা আছে। একই রিপোর্ট দেখায় যে, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ৪৩.৩৮ শতাংশ অক্ষমতাজনিত বৈষম্যের সম্মুখীন হন। তবে আশার কথা হলো, বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বহুবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। অবকাঠামো নির্মাণে তাদের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। সরকারের সদিচ্ছার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বেসরকারি ও করপোরেট সেক্টরেও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছে। সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশন সারা বাংলাদেশ জুড়ে প্রতিবন্ধী সেবা ও  সাহায্য কেন্দ্রের মাধ্যমে সুবর্ণ কার্ড ও প্রতিবন্ধী ভাতা প্রাপ্তি, বিভিন্ন ধরনের থেরাপি প্রদান, ব্যায়াম করানো, মনোসামাজিক এবং পুর্নবাসন সহায়তা দেওয়াসহ তাদের অন্যান্য প্রাপ্য অধিকার ও সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। তবে সমস্যা এবং প্রয়োজন – দুটোরই গভীরতা যতটুকু, করা সম্ভব হচ্ছে তার তুলনায় অনেক কম।


গত বছরের ঘটনা। রংপুরে আমরা কয়েকজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং তাদের কেয়ারগিভারদের সঙ্গে একটা উঠান বৈঠকে বসেছিলাম। সেখানে শিশু থেকে বয়স্ক – সব বয়সী নারী ও পুরুষ প্রতিবন্ধী ছিলেন। এক আপার কথা এখনও কানে বাজে। জন্মগতভাবে ওনার একটা পা ছোটো। বাবা-মা, স্বামী এবং শশুর-শাশুড়ি কেউই ওনাকে কোথাও নিয়ে যান না। তার খুঁড়িয়ে চলা দেখলে তাদের লজ্জা লাগে। বাড়ির বৌ খোঁড়া – এই নিয়ে পাড়াপ্রতিবেশি কটুকথা বলে, হাসাহাসি করে। ওই আপা সম্প্রতি একটি এনজিও থেকে এক জোড়া বিশেষ স্যান্ডেল পেয়েছেন। সেগুলোর একটি তার ভিন্ন আকৃতির পায়ের মাপ অনুযায়ী বানানো। ফলে তিনি এখন স্যান্ডেল জোড়া পায়ে দিয়ে আশেপাশের অন্য সবার মতো করে হাঁটতে পারেন। এই ঘটনার পর পরিবার এবং সমাজে তার অবস্থান পাল্টে গেছে। তিনি এখন নিয়মিত বাইরে আসা-যাওয়া করেন। অস্বস্তিতে ভোগেন না। কেউ তার দিকে অন্য চোখে তাকায় না। কটুক্তিও করে না। চোখেমুখে হাসি নিয়ে আপা আমাদের বলেছিলেন, কিছুদিন আগে প্রথমবারের মতো তিনি স্বামীর সঙ্গে বিয়ের দাওয়াতে গিয়েছিলেন। এটা তার জীবনের অন্যতম আনন্দের ঘটনা। আমি অবাক হয়ে ভাবছিলাম একটা স্যান্ডেল কীভাবে একজন মানুষের জীবনে এত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে!

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও