সংলাপের উদ্যোগ কি আসবে?
পল্টনে বড় জনসমাবেশ করে বিএনপি দুর্গাপূজার ছুটিতে সরকারকে ভেবে দেখতে বলল– তারা এখন কী করবে? ওই দিন যথারীতি কাছাকাছি জায়গায় পাল্টা জমায়েত করেছে ক্ষমতাসীনরা। এসব পাল্টাপাল্টিতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হলেও কোনো সংঘাত হচ্ছে না আজকাল। তবে পথিমধ্যে বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকরা বাধার মুখে পড়ছে। চলছে ধরপাকড়। এসব সত্ত্বেও জমায়েতটি ভরে উঠেছে বিপুলসংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে। ২৮ অক্টোবর একই স্থানে আরেকটি মহাসমাবেশ করা হবে বলে দলটির মহাসচিব ঘোষণা করেছেন। আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবেই চলবে এবং এতে আদায় হবে ‘এক দফা দাবি’।
তার অর্থ এই নয়– সংলাপে ইচ্ছুক নয় বিএনপি। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সুযোগ করে দিতে সরকার পদত্যাগে সম্মত হলে তারা সংলাপে বসতে রাজি। আগামী নির্বাচন ঘিরে যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সবিশেষ আগ্রহ দেখাচ্ছে, তারাও জোর দিচ্ছে সংলাপে। যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্বাধীন’ প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলটি তাদের সুপারিশে জোর দিয়েছে সংলাপের ওপর। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের যে কর্মকর্তা সর্বশেষ সফর সেরে গেলেন, তিনিও বলছেন, ওই সুপারিশে সমর্থন রয়েছে বাইডেন প্রশাসনের। সরকারপক্ষ অবশ্য পদত্যাগে সম্মত হয়ে সংলাপে বসতে রাজি নয়। সংবিধানে এখন দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচনের বিধান রয়েছে। আর তারা এমনভাবে সংবিধানের প্রশ্ন তুলছেন, যেন সেটা পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। ইতোপূর্বেও যেন এটা করা হয়নি। সংবিধানের বাইরে গিয়েও তো একই সমস্যার সমাধান করা হয়েছিল। দলনিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থার অবসানও ঘটানো হয় সংবিধানে সংশোধনী এনে। যারা এখন দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে একান্ত অনিচ্ছুক, তারাও একসময় বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের দাবি অগ্রাহ্য করতে গিয়ে একইভাবে সংবিধানের দোহাই দিচ্ছিল।