অস্বস্তি ও উদ্বেগে ভরা এক দেশ

সমকাল হাসান মামুন প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৫৪

জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সমীকরণ সরকারের জন্য ‘অস্বস্তিকর’–এ কথা অনেকেই বলছেন। উদ্বেগের জায়গা অবশ্যই রয়েছে। বিরোধী দলেও কি অস্বস্তি ও উদ্বেগ নেই? দাবি আদায়ে সরকারের ওপর কার্যকর চাপ সৃষ্টির ব্যর্থতাই তাদের অস্বস্তির কারণ। ক্ষমতাসীনদের মধ্যেও এমন ধারণা বদ্ধমূল যে, নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ সরকারব্যবস্থা আদায়ে বিরোধী দল আগামীতেও কার্যকর আন্দোলন গড়ে তুলতে পারবে না। বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে তারা বলেও চলেছেন– পারলে তেমন আন্দোলন গড়ে তুলে সরকারকে তাদের দাবি মানতে বাধ্য করুক!


দাবি যৌক্তিক না অযৌক্তিক, সেই প্রশ্ন গুরুত্ব হারালে এভাবে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়াটা বাস্তবতা হয়ে ওঠে। এ অবস্থায় বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দল থেকেও বলা হচ্ছে, আন্দোলনের মাধ্যমেই দাবি আদায় করা হবে এবং একতরফা নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পরও থাকবে এর সুযোগ। প্রশ্ন হলো, অতীতে আওয়ামী লীগ প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন ঠেকাতে মাঠ গরম করতে পারলেও এখনকার বিরোধী দল তা পারবে কিনা। নিকট অতীতের অভিজ্ঞতা ইতিবাচক বলে মনে হচ্ছে না। আগেকার মতো করে আন্দোলন রচনায় নানা অসুবিধাও যুক্ত হয়েছে এখন। প্রায় সবকিছু দলীয়করণের মাধ্যমে সরকার ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করে ফেলেছে। তার জনসমর্থন কমতে পারে, তবে আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতা হারানোর ঝুঁকি অনেক কমিয়ে ফেলেছে সরকার। অন্যদিকে টানা তিন মেয়াদ ক্ষমতার বাইরে থেকে বিএনপি অব্যাহতভাবে হামলা ও মামলা মোকাবিলা করে করে দুর্বল হয়ে পড়েছে। পুরোনো মামলা সচল এবং নতুন করে মামলায় জড়িয়ে তাদের সক্রিয় নেতাকর্মীকে ব্যতিব্যস্ত রাখার তরিকা ভালোই জানা আছে সরকারের।


‘জনগণকে সম্পৃক্ত করে’ আন্দোলন গড়ে তোলার কথা অবশ্য বলা হচ্ছে। জনজীবনে সৃষ্টি হওয়া সংকটের চাপে একপর্যায়ে নির্বাচনকেন্দ্রিক আন্দোলনেও মানুষ নাকি সম্পৃক্ত হয়ে পড়বে। মূল্যস্ফীতিসহ জনজীবনে সংকট সৃষ্টির প্রক্রিয়া তো অনেক দিন ধরেই চলমান। সরকার যে সেটা সামলাতে খুব সক্রিয়, তাও মনে হয় না। অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় খামখেয়ালিপনাও দৃশ্যমান। ব্যাংকসহ বিভিন্ন খাতে বড় দুর্নীতির খবরও কম বেরুচ্ছে না। রিজার্ভ দিন দিন খারাপ হচ্ছে এবং শঙ্কা রয়েছে আমদানিতে অচলাবস্থা সৃষ্টির। এগুলো সবার কাছে সমান বোধগম্য না হলেও নিত্যপণ্যের বাজারে বাড়তে থাকা আগুন জনসাধারণের গায়ে এসে লাগছে। তবে এটা ঘটলেই তারা রাস্তায় নেমে আসবে, বিষয়টা এত সরল নয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও