ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন সহিংসতা: চাই মুসলিম বিশ্বের ঐক্য
কয়েকদিন ধরে, নির্মম সহিংসতা ও রক্তপাতের ফলে নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ শত শত ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছে এবং সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবারের সূচনা হয় গাজা থেকে ইসরায়েলে নজিরবিহীন আক্রমণ করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারপর থেকেই কয়েকদিন ধরে দুপক্ষের মধ্যে সংঘাত চলছেই। হামাস ইসরায়েলে একসঙ্গে কয়েক হাজার রকেট নিক্ষেপ করেছে। সেই সঙ্গে অনেক হামাস যোদ্ধা গাজার সীমানা অতিক্রম করে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় গাজার হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপে হিমসিম অবস্থা। এমন নির্মম অত্যাচারের প্রতিবাদে আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।
নিরপরাধ বেসামরিক জনগণের হত্যা বা ক্ষতিসাধন করা ইসলাম ও শান্তির দূত মহানবির (সা.) শিক্ষার সরাসরি লঙ্ঘন। তিনি শিখিয়েছেন, যুদ্ধাবস্থায়ও কোনো নারী, শিশু বা বৃদ্ধকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা বা তাদের ক্ষতিসাধন করা যাবে না। কোনো ধর্মীয় নেতা বা উপাসনালয়েও হামলা করা যাবে না। এমন বর্বর ও নিষ্ঠুর হামলা শুধু ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মাঝেই যে হচ্ছে তা কিন্তু নয় বরং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মুসলমানরা প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হচ্ছে। সমগ্র বিশ্বে কেন মুসলমানরা প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হচ্ছে? এর একটাই কারণ, তাহলো মুসলিম আজ শতধা বিভক্ত হয়ে পরস্পর ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত।
মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর পরস্পরের মাঝেই নেই ঐক্য। মুসলমানদের এই অনৈক্যের কারণেই ভ্রাতৃঘাতী দ্বন্দ্ব সংঘাতে লিপ্ত হয়ে পড়তে দ্বিধাবোধ করছে না। সমগ্র মুসলিম বিশ্বের এই চরম বিপর্যয়ের একমাত্র কারণ- তাদের আজ কোনো ঐশী নেতা নেই। যেহেতু মুসলিম জাহান আজ ঐশী নেতৃত্বশূন্য অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে তাইতো এ অধঃপতন। মুসলিম বিশ্বের একতাই পারে জাতিসমূহকে শক্তিশালী জাতিতে রূপান্তরিত করতে। আজ যদি সমগ্র বিশ্বের ইসলামী একক নেতা থাকতো তাহলে কারও এ সাহস থাকতো না মুসলমানদের ওপর এমন নির্মম অত্যাচার করার।