আইসিইউতে যখন আমাদের সিনেমা

ঢাকা পোষ্ট অমিতাভ রেজা চৌধুরী প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯:০৫

সিনেমা কী? কাকে বলে? খুব ছোটবেলায় এই প্রশ্নের উত্তর কখনো খুঁজতে যাইনি, হয়তো প্রয়োজন পড়েনি, ছোটবেলার স্মৃতিতে আছে দ্য ব্রিজ অন দ্য রিভার কোয়াই (The Bridge on the River Kwai, 1957) দেখতে গেছিলাম মধুমিতা সিনেমা হলে।


তাছাড়া স্কুল জীবনে এক টিকেটে দুই ছবি প্রতিদিন দেখতাম ছন্দ সিনেমা হলে। ভালোই লাগত, প্রথম সিনেমা হতো অ্যাকশন আর পরেরটা প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য নির্মিত যৌন বাণিজ্যতা, যদিও সেই বয়সে পরের সিনেমাটাই দেখতে বেশি ভালো লাগতো।


পরবর্তীতে ভিডিও হোম স্টিস্টেম বা Video Home System-VHS-এ সিনেমা দেখার চর্চাই ছিল স্কুল জীবনে সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা। আমাদের বাবা-মা তখন হিন্দি আর বাংলা সিনেমা বেশি দেখতো, সেই সুবাদে সেই সময় উত্তম-সুচিত্রার বাংলা সিনেমা, অমিতাভ বচ্চন-রেখা আর নাসিরউদ্দিন-স্মিতা পাতিলের সিনেমা দেখার চর্চাই বেশি হতো।


এইসব সিনেমা দেখার ফলে সেই বয়সে সম্পর্কের গল্প, বাম রাজনৈতিক চিন্তারও এক ধরনের প্রতিফলন পেতাম, পরবর্তীতে সত্যজিৎ-মৃণাল-বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের সিনেমা সেই বয়সে চলচ্চিত্রের বিষয়ে আগ্রহী করে তোলে। নিউ লিবারেল ইকোনমির উদ্বোধন বাংলাদেশে বিদেশি সিনেমার (বিশেষ করে ভারতীয় সিনেমার জোয়ার মূলত MTV/Channel V আর জিটিভি-এর মাধ্যমে) এক প্রকার সাংস্কৃতিক আধিপত্য করার দ্বার খুলে দেয়।


এসব চ্যানেলে সিনেমার গান, অনুষ্ঠান এবং ‘স্টার/সেলেব্রিটি’দের লাইফ স্টাইল প্রচার শুরু করে যা আমাদের সিনেমার কৃষ্টির বাইরে একটা নতুন কালচারাল ন্যারেটিভ হাজির করে, যা আমাদের জীবনযাত্রা, সাংস্কৃতিক আকাঙ্ক্ষায় আর সমাজ বাস্তবতায় নতুন মাত্রা তৈরি করে।


এই আকাঙ্ক্ষার সাথে আমাদের প্রতিদিনের জীবনের স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা, চিন্তা, সম্পর্ক সবকিছু প্রভাবিত হয়। তাই সিনেমা এখন আর অন্ধকার ঘরে বসে দেখে আসা অভিজ্ঞতার কথা বলে না। সিনেমা এখন আপনি বিয়ের অনুষ্ঠানে কী কাপড় পরবেন, কোন গানে নাচবেন, সব্যসাচীর ডিজাইনের কাপড় কিনতে কলকাতায় কবে যাবেন, কিংবা ওয়েডিং ফটোশুট করতে কোন দৃষ্টি নন্দন লোকেশনে যাবেন… তাও নির্ধারণ করে দেয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও