কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

যে বেদনা চিরদিন বইতে হবে

ঢাকা পোষ্ট তোফায়েল আহমেদ প্রকাশিত: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৩১

১৯৭৫-এর ১২ সেপ্টেম্বর আমাকে যখন ময়মনসিংহ কারাগারের কনডেম সেলে  নিয়ে গেল, তখন আমার কাছে মনে হয়েছে যে আমি স্বর্গে এসেছি। এটা আমার জন্য বেহেশত। সেখানে ফাঁসির আসামিকে রাখা হয় সেখানে সূর্যের আলো-বাতাস অনুভব করা যায় না। কারণ ১৫ আগস্টের বিভীষিকাময় দিনটির শুরু থেকেই আমার ওপর যে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছিল, তাতে আমি না পারি হাঁটতে, না পারি দাঁড়াতে।


১৫ আগস্ট থেকেই খুনিচক্র আমাকে গৃহবন্দি করে রেখেছিল। গৃহবন্দি অবস্থায় ঘাতকের দল আমার ওপর তিনবার ভয়াবহ নির্যাতন চালায়। ১৭ আগস্ট মেজর শাহরিয়ার (যার ফাঁসি কার্যকর হয়েছে) এবং ক্যাপ্টেন মাজেদ (সম্প্রতি যার ফাঁসি হয়েছে) এই দুই জন বাসা থেকে টেনেহিঁচড়ে আমাকে রেডিও স্টেশনে নিয়ে যায়। আমার মা তখন বেহুঁশ। সেখানে আমার ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়। 


১৮ আগস্ট আমার বাসায় তৎকালীন ব্রিগেডিয়ার শাফায়েত জামিল এবং সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত হোসেন (তখন মেজর ছিলেন), আমার সঙ্গে দেখা করতে আসেন এবং গোপন কিছু কথা বলেন। তারা চলে যাওয়ার পর আমার ওপর খুনি চক্রের নির্যাতন বেড়ে যায়। যে কথা শাফায়েত জামিল তার বইতে লিখেছেন এবং ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াতও তার বইতে উল্লেখ করেছেন। ২৩ আগস্ট আমাকে এবং জিল্লুর রহমানকে (প্রয়াত রাষ্ট্রপতি) বঙ্গভবনে খুনি মোশতাকের কাছে ই এ চৌধুরী নিয়ে যান। চৌধুরী তখন ডিআইজি এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চের প্রধান। সেখানে আমাদের ভয়ভীতি দেখানো হয় এবং খুনি খোন্দকার মোশতাক সরকারকে সমর্থনের জন্য প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করা হয়। আমরা যখন কিছুতেই রাজি হইনি, তখন মোশতাক ভীতি প্রদর্শন করে ইংরেজিতে বলেছিল, You are waking on grave. If somebody enter your house and killed you, nobody will take responsibility. খুনি সরকারের সপক্ষে সম্মতি আদায়ে ব্যর্থ হয়ে আমাদের বাসভবনে ফিরিয়ে দেয়। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও