কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

উচ্চতর গবেষণা: জ্ঞানীজনদের অবক্ষয়িত নৈতিকতা

বণিক বার্তা আবু তাহের খান প্রকাশিত: ৩০ আগস্ট ২০২৩, ০৯:৫৯

সম্প্রতি দৈনিক পত্রিকায় এ মর্মে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে যে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা পরিষদের (বিএসএসআরসি) কাছ থেকে নানা সময়ে বিভিন্ন গবেষণাকাজের জন্য অর্থ বরাদ্দ নিয়ে সংশ্লিষ্ট গবেষকদের একটি বড় অংশ পরে আর কোনো গবেষণা প্রতিবেদন পেশ করছে না বা গৃহীত অর্থ ফেরতও দিচ্ছে না (বণিক বার্তা, ১৩ আগস্ট ২০২৩)। এ ব্যাপারে তাদের কারো কারো বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের মতো পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে। কিন্তু তার পরও অনেকের কাছ থেকেই গবেষণা প্রতিবেদন বা অব্যবহৃত অর্থ উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ব্যাপারে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, ‘‌বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্যমান্য গবেষকরা টাকা নিয়ে সময়মতো রিপোর্ট দিচ্ছেন না, টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না। এটি সামাজিক অবক্ষয়ের একটি চিত্র।...আমরা শুদ্ধি অভিযানের কথা বলি। কিন্তু নৈতিকতা ও মূল্যবোধ ছাড়া এগুলো কীভাবে সম্ভব হবে?’


শিক্ষাদীক্ষায় বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে পিছিয়ে থাকলেও পৃথিবীর অনেক অগ্রসর সমাজের মতোই বাংলাদেশের সাধারণ মানুষও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা অনুরূপ পর্যায়ের উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তিদের বিশেষ সম্মানের চোখে দেখে। কিন্তু সমাজের সেই উচ্চশিক্ষিত সম্মানিত মানুষরাই যখন এরূপ নানা নৈতিকতাবিবর্জিত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ব্যাপকভাবে জড়িয়ে পড়েন, তখন সেই সম্মান কি আর অক্ষুণ্ণ থাকে বা থাকা সম্ভব? তারা যে শুধু গবেষণার জন্য অর্থ বরাদ্দ নিয়েই সেটি তছরুপ করে দেয়ার লক্ষ্যে নানা ফন্দিফিকির করেন তাই নয়, এরূপ হাজারটা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়াটা এখন তাদের নিত্যদিনের মামুলি আচরণে পরিণত হয়েছে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের (ভিসি) দুর্নীতি, অনিয়ম, কেলেঙ্কারি ও অপকর্মের তালিকা এখন এতটাই দীর্ঘ যে দুর্নীতিতে শীর্ষস্থান অধিকারের জন্য খেতাব দেয়ার রীতি থাকলে সেটি তারাই পেতেন।


আর খেতাবের প্রসঙ্গ যখন এলই তখন উল্লেখ করতেই হয় যে খেতাবদানের তালিকা তৈরির ক্ষেত্রেও এখন দুর্নীতির মহোৎসব, যে উৎসবের কল্যাণে ফেসবুকে লিখেও একুশে পদক পাওয়া যায়। আর তথ্য হচ্ছে, এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে উল্লিখিত জ্ঞানীগুণীদের সংখ্যাও যথেষ্টই রয়েছে। যে সমাজে কথিত গুণীজনরা তদবির করে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে, লেজুড়বৃত্তি ও চাটুকারিতা করে, লেখাজোকার ভুয়া ফিরিস্তি দিয়ে তথাকথিত ‘‌কর্ম ও অবদানে’র স্বীকৃতি আদায় করে, সে সমাজে চিন্তা ও নৈতিকতার অবক্ষয় যে কতটা নিচে নেমেছে তা শুধু এ দেশের মানুষের পক্ষেই উপলব্ধি করা সম্ভব। এমনকি তা আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ সোমালিয়া, সুদান কিংবা শাদের মানুষের পক্ষেও উপলব্ধি করা সম্ভব কিনা, সে ব্যাপারে সন্দেহ রয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও