এক আবাসিক ছাত্রীকে নির্যাতনের দায়ে কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে চিরতরে বহিষ্কার করার পর ধারণা করা গিয়েছিল, দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও এর অধিভুক্ত কলেজগুলোতে এ ধরনের নির্যাতন–র্যাগিং বন্ধ হবে। কিন্তু সেই আশা যে নিষ্ফল রোদন, সেটাই প্রমাণিত হলো বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ছাত্রী হলের ঘটনায়।
সেখানে এক ছাত্রীকে দুই দফায় হলের একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন, গালাগাল, হুমকি ও মুঠোফোন তল্লাশি করেন সেই হলেরই দুই জ্যেষ্ঠ আবাসিক ছাত্রী, যাঁরা নিজেদের ছাত্রলীগের নেত্রী বলে দাবি করেন। প্রথমবার দুই ছাত্রীকে নিয়ে এক ছাত্রলীগ নেত্রীর কক্ষে নিয়ে নির্যাতন করা হয়।
এরপর ওই দুই ছাত্রী আরেক আবাসিক ছাত্রীকে বিষয়টি জানালে ফের একজনকে ডেকে নিয়ে তাঁর ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়লে তাঁকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।