নন-ক্যাডার নিয়োগে জট কেন
সরকারি চাকরিতে পদ খালি রয়েছে প্রায় ৫ লাখ। এ বছরের জুনে প্রকাশিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য বলছে, সরকারি চাকরিতে অনুমোদিত পদের প্রায় ২৬ শতাংশ শূন্য। তার মানে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৭৬টি পদ এখন খালি আছে। সরকারি শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ দেওয়ার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন সময় নির্দেশনা দেওয়া হলেও নিয়োগে গতি দেখা যাচ্ছে না। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক চিঠিতে ‘বিভিন্ন ক্যাটাগরির সরকারি চাকরিতে (বিসিএস ছাড়া) সরাসরি নিয়োগের শূন্য পদগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে পূরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ নিতে বলা হলেও কাজ হয়নি। এ চিঠি যখন দেওয়া হয় তখন পৌনে ৪ লাখ পদ শূন্য ছিল। আর দুই বছর পর এখন সেটা প্রায় ৫ লাখে দাঁড়িয়েছে। তার মানে, এ সময়ের মধ্যে নিয়োগের কাজ যতটা দ্রুত হওয়ার কথা ছিল, ততটা হয়নি।
রোববার প্রকাশিত সমকালের প্রতিবেদন অনুসারে, ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডারের নিয়োগ আটকে থাকায় বিপাকে পড়েছেন আট হাজার প্রার্থী। নিয়োগবিধি জটিলতায় পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে আটকে
আছে তাদের নিয়োগ। অবশেষে নিয়োগবিধি জারি হলেও নতুন করে একটি রিটে আবারও নিয়োগে স্থগিতাদেশ আসে। ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডারের এ সংকট অবশ্য তৈরি হয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ১৫৬ জন সহকারী প্রকৌশলী নিয়োগ নিয়ে। তাদের নিয়োগ কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে থাকলেও হঠাৎ এলজিইডি নিয়োগ স্থগিত করতে বলায় জটিলতা তৈরি হয়। পরে তা আদালতে গড়ায়। এলজিইডির আকস্মিক এমন সিদ্ধান্তে তাদের শুধু ১৫০ জন নয়, পুরো আট হাজার প্রার্থীর নিয়োগ আটকে যায়।