বাংলাদেশ জনমিতির লভ্যাংশ বা পপুলেশন ডিভিডেন্ড পাচ্ছে বলে সরকারের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে একধরনের আত্মতুষ্টি রয়েছে। তাঁদের কেউ কেউ বাড়তি জনসংখ্যা বোঝা নয়, আশীর্বাদ বলে প্রচার করছেন। তাঁদের এই প্রচার ও বাস্তবতার মধ্যে বিরাট ফারাক আছে।
যেকোনো দেশে মোট কর্মক্ষম জনসংখ্যা যদি কর্মক্ষমতাহীন জনসংখ্যার চেয়ে বেশি হয়, সেই অবস্থাকে জনমিতিক লভ্যাংশ হিসেবে ধরা হয়। তবে বিষয়টি কেবল সংখ্যার ওপর নির্ভর করে না। দেখতে হবে সেই সংখ্যাকে আমরা কতটা দক্ষ ও যোগ্য করে তুলতে পেরেছি।
জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থানে থাকলেই হবে না, তাঁদের সুস্থ ও দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ তৈরি করতে যে শিক্ষা-স্বাস্থ্যসেবাসহ যে সামাজিক সুরক্ষা প্রয়োজন, সেটাও নিশ্চিত করা প্রয়োজন।