রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে বিলম্বের কারণ
২০১৭ সাল থেকে প্রায় অর্ধযুগ অতিক্রান্ত হলেও মিয়ানমার একজনও রোহিঙ্গাকে তাদের দেশে ফেরত নেয়নি। বরং বিভিন্ন সময়ে প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে নাটকীয়তার জন্ম দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকলেও বরাবরই রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনার ওপর কুঠারের আঘাত দিয়েছে মিয়ানমার। বাংলাদেশ সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ও আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর ১৯ দফা সংবলিত একটা সমঝোতা দলিল স্বাক্ষরিত হয় বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের মধ্যে। সে চুক্তির আলোকে প্রাথমিকভাবে ৩ হাজার ৪৫০ জন রোহিঙ্গাকে সাত ভাগে বিভক্ত করে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলে মিয়ানমার।
নাগরিকতার তথ্য-প্রমাণের দোহাইয়ে চুক্তিটি আলোর মুখ দেখেনি। ২০১৯ সালেই মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা দায়ের করে গাম্বিয়া, যা এখনও চলমান। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন অং সান সু চিসহ তাদের সব আইনজীবী এবং কৌঁসুলি ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি এবং তাদের নাগরিকত্বের বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। অবাক হলেও সত্য, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলেও হয়নি মতের পরিবর্তন।
- ট্যাগ:
- মতামত
- রোহিঙ্গা
- বিলম্ব
- প্রত্যাবর্তন
- জাতিসংঘ