জুতা টাইট হলে যা করবেন
দোকানে খুব পছন্দের জুতা কিনে বাড়ি ফিরে অনেকেই বিপত্তিতে পড়েন। পায়ের চেয়ে এক সাইজ ছোট জুতা বা স্যান্ডেল কিনলে আরামে চলাফেরা করা কঠিন হয়ে পড়ে। আবার এখন অনেকেই অনলাইন থেকে জুতা অর্ডার করেন। নিজের সাইজ বুঝে জুতা কেনার পরও পায়ে আঁটসাঁট হতে পারে। জুতা ‘টাইট’ হলে পায়ে ঢোকানোও কঠিন। যাঁদের জুতা টাইট হয়, তাঁরা অনেকেই ফ্যাশনের খাতিরে সেই জুতা পরেই বাইরে বের হয়ে পড়েন। এতে পায়ে ফোসকা পড়ে। আবার টাইট জুতায় রক্ত চলাচলে বাধা তৈরি করে, এতে পায়ে ব্যথা হয়। নানা কারণে জুতা টাইট হতে পারে। অনেক সময় জুতার ভেতরের অংশ চাপা হলেও টাইট মনে হতে পারে। জুতার ভেতরের দিকে উৎপাদনজনিত বাড়তি অংশ থেকে গেলেও টাইট মনে হতে পারে। অনিয়মিত টাইট জুতা পরলে কিন্তু পা ও পায়ের আঙুলের আকার বদলে যেতে পারে। টাইট জুতার কারণে পায়ে জ্বালাপোড়ার সমস্যা হয়। টাইট জুতা পরা নিয়ে যাঁরা বিপদে পড়েন, তাঁদের জন্য থাকছে কিছু পরামর্শ।
সন্ধ্যা বা রাতে বাড়িতে জুতা পরুন
নতুন জুতা প্রথম দিকে কিছুটা অস্বস্তিকর হতে পারে, তাই জুতা কিনেই বাইরে বা অফিসে পরে না যাওয়া ভালো। এ ক্ষেত্রে সন্ধ্যা বা রাতে বাড়িতে ফিরে সেই জুতা পরে চলাফেরা করুন। বাড়িতে চলাফেরা করার কারণে সেই জুতায় অনেকটাই স্বাচ্ছন্দ্য চলে আসবে। যাঁরা দিনে প্রচুর হাঁটাচলা করেন, তাঁরা অবশ্যই জুতা কিনে বাড়িতে চলাফেরা করে আঁটসাঁট অবস্থা ঠিক করে নিন।
চিকন মোজা পরতে পারেন
জুতা পরে বাড়িতে চলাফেরায় যদি জুতায় স্বাচ্ছন্দ্য না আসে, তাহলে চিকন বা নাইলনের মোজা পরতে হবে।
হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে হিট
এরপরও টাইট মনে হলে জুতার যে স্থানে টাইট লাগবে, সেখানে হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড হিট দিতে হবে। এই হালকা গরম তাপে জুতা কিছুটা নরম হবে। জুতার বেশি কাছে হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে হিট দেবেন না, এতে চামড়া বা জুতায় তাপের জন্য দাগ পড়ে যেতে পারে।
জেলির ব্যবহার
নতুন জুতা ব্যবহারের সময় যেখানে টাইট মনে হবে, সেখানে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে নিতে পারেন। এতে ফোসকা পড়ার ঝুঁকি কমবে। এ ছাড়া হালকা পিচ্ছিল হওয়ায় পায়েও আরাম পাবেন।