খুঁড়িয়ে চলছে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা

www.ajkerpatrika.com সৈয়দপুর প্রকাশিত: ১৪ আগস্ট ২০২৩, ১১:৩২

দীর্ঘদিন ধরে জনবল-সংকটে ধুঁকছে নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা। চার ভাগের এক ভাগ কর্মচারী দিয়ে চলছে দেশের বৃহত্তম এ রেলওয়ে কারখানার কার্যক্রম। বিকল্প অস্থায়ী নিয়োগপদ্ধতিতে টিএলআর (কাজ নেই, মজুরি নেই) শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হলেও ছয় মাস ধরে তা বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না থাকায় রয়েছে কাঁচামালের তীব্র সংকট। এসব কারণে কারখানাটিতে উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।


কারখানা সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে কারখানাটিতে কর্মকর্তা ও শ্রমিক-কর্মচারীর পদ ২ হাজার ৮৫৯টি। এর মধ্যে মাত্র ৭১৬ জন কর্মরত। অর্থাৎ ২ হাজার ১৪৩ পদ শূন্য রয়েছে। এই জনবল-সংকটের কারণে কারখানায় ক্যারেজ মেরামতের প্রতিদিনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিদিন তিনটি কোচ মেরামতের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও হচ্ছে দুটি কোচ। ২৯টি শপে ৭৪০টি যন্ত্র পরিচালনায় নেই প্রয়োজনীয় দক্ষ শ্রমিক। এদিকে কারখানাটিতে পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দও নেই। বরাদ্দ না থাকায় চাহিদা ও সময়মতো কাঁচামালের সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না।


কারখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, বেশির ভাগ সময়ই মালপত্র কেনার দরপত্রে জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রতা হয়। ফলে কোচ ও ওয়াগন মেরামতের প্রয়োজনীয় কাঁচামালের জোগান সময়মতো আসে না। অনেক সময় নিম্নমানের মালামালও চলে আসে। সেগুলো ঠিক করতে গিয়ে অতিরিক্ত জনবল, কর্মঘণ্টা ও বিদ্যুতের অপচয় হয়।


সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিটি শপে প্রয়োজনের তুলনায় ২০-২৫ শতাংশ শ্রমিক নিয়ে উৎপাদন কাজ চলছে। উৎপাদনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি কিংবা নষ্ট কোচ মেরামতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছেন না কারিগরেরা। দক্ষ জনবলের অভাবে বন্ধ রয়েছে অনেক যন্ত্রপাতি।


কারখানা সূত্রে জানা গেছে, আসাম-বেঙ্গল রেলপথ ঘিরে ১৮৭০ সালে স্থাপিত হয় সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা। ১১০ দশমিক ২৯ একর জায়গায় প্রতিষ্ঠিত কারখানাটিতে রয়েছে ২৮টি শপ (উপকারখানা)। এখানে ব্রডগেজ ও মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ ও মালবাহী যানের (ওয়াগন) মেরামত কাজ করা হয়। পাশাপাশি রেলওয়ের স্টিম রিলিফ ক্রেন ও দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্যারেজ এবং ওয়াগন মেরামতের কাজও হয়ে আসছে। এ ছাড়া ক্যারেজ, ওয়াগন ও লোকোমোটিভের ১ হাজার ২০০ রকমের খুচরা যন্ত্রাংশ তৈরি হয় এ কারখানায়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও