দেশের নারী শ্রমিকেরা বরাবরই অবহেলিত, বঞ্চিত ও নির্যাতিত। পয়লা মে ছাড়া নারী শ্রমিকদের নিয়ে তেমন কথাবার্তাও হয় না। ফলে একজন নারী শ্রমিককে হত্যা করা হলো, এ নিয়ে শ্রমিক সংগঠন থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট মহলগুলোতে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা গেল না।
মজুরির দিক থেকে নারী এখনো বৈষম্যের শিকার। সেই মজুরি দিয়ে কোনোভাবে জীবনমান উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। যার কারণে তাঁদের আর্থিক টানাপোড়েনেই থাকতে হয়। এনজিও ঋণ ও দাদনচক্রের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ ছাড়া তাঁদের কিছুই করার থাকে না। সেটি করতে গিয়েই কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় হত্যার শিকার হলেন ওই নারী শ্রমিক।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, গত রোববার উপজেলার গুণধর ইউনিয়নের ইন্দাচুল্লি গ্রামে দাদনের টাকার জন্য ঘর থেকে ধরে এনে রাস্তার ওপর মোছা. বিলকিস নামের ওই নারী শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নূরে আলম ও তাঁর ভাই সুজন মিয়ার বিরুদ্ধে এ হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত নারীর ছেলে তঁাদের আসামি করে একটি মামলাও করেছেন। প্রধান আসামি নূরে আলম পালিয়ে গেলেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে ভাই সুজন মিয়াকে।