কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

হাতি লোপ পায় কিন্তু তেলাপোকা টিকে থাকে

সমকাল সাদিয়া আফরিন প্রকাশিত: ০৯ আগস্ট ২০২৩, ০০:০১

ঢাকা শহরে ঘণ্টায় একটি বিচ্ছেদের খবর কিংবা সাত সমুদ্র পেরিয়ে কানাডার সুদর্শন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বিচ্ছেদ আমাদের দুঃখ দেয়। আহাজারি ছড়িয়ে পড়ে ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে ভার্চুয়াল আলাপচারিতায়। আমাদের সমাজে বিয়ে ব্যাপারটি যতটা ইতিবাচক ও সুখকর, বিচ্ছেদ ততটাই নেতিবাচক ও বিষাদমাখা।


বিচ্ছেদ বলতেই আমরা বুঝি অসম লিঙ্গের দু’জন মানুষ অর্থাৎ একজন নারী ও একজন পুরুষের বিয়ে বিচ্ছেদ অথবা বিয়ে চুক্তির অবসান। অসম লিঙ্গের বিয়ে আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রাথমিক ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। সেহেতু চিরাচরিত আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে বিয়েকে টিকিয়ে রাখা। বিয়ে ও পরিবার দুটো যেন অবিচ্ছেদ্য। সমাজের চিন্তা পদ্ধতি আমাদের শিখিয়ে পড়িয়ে নেয়– যে কোনোভাবে বিয়ে টিকলেই পরিবার টিকে থাকবে। বিচ্ছেদ হলে যা সম্ভব নয়।


বিয়ের মতো বিচ্ছেদও আমাদের জীবনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। পরিবার বা জ্ঞাতি সম্পর্কের প্রাথমিক ভিত্তি যেহেতু বিয়ে এবং তার ফলে তৈরি হওয়া পরিবার, সেহেতু আমাদের প্রাণান্তকর চাওয়া সমাজের প্রাথমিক প্রতিষ্ঠানকে টিকিয়ে রাখা। তাই বিয়ে চুক্তির লঙ্ঘন না করা বা বিয়ে টিকিয়ে রাখা। এ জন্য রয়েছে নানা আয়োজন, আরোপণ এবং চাপ। যে বা যিনি বিয়ের সম্পর্কে আছেন, তাঁর চেয়ে যিনি এ সম্পর্ক রাখলেন না বা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এলেন, তিনি যেন এই সমাজের কেউ না; অন্য কেউ। যদি তিনি নারী হন তাহলে মোটেও ‘ভালো নারী’ নন, ‘খারাপ চরিত্রের’। সমাজের কাছে ‘খারাপ নারী’ মানেই তারা, যারা সমাজের চোখে ‘নিন্দিত’, সমাজবহির্ভূত। যেমন বেশ্যা।


শিক্ষিত নারীদের বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে ইদানীং বলা হয়, মেয়েটি ‘অ্যাম্বিশাস বা উচ্চাকাঙ্ক্ষী’। যেন মেয়েদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকাটাই বিচ্ছেদের কারণ। মেয়েদের অ্যাম্বিশন থাকাটা অপরাধ। এই চাপিয়ে দেওয়া নেতিবাচক তকমাগুলো সামাজিক চাপ সৃষ্টি করে। তা ধীরে ধীরে রূপ নেয় ভায়োলেন্স বা সহিংসতায়। সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক বিষিয়ে উঠবে; মুখ দেখাদেখি বন্ধ থাকবে; ভায়োলেন্স চলতে থাকবে। এক সময় সঙ্গীর পরিবারের লোকজন, আত্মীয়স্বজনকে লক্ষ্য করেও নানা রকম কাদা ছোড়াছুড়ি, হয়রানি যুক্ত হবে কিন্তু বিচ্ছেদে যাওয়া যাবে না। কেউ একসঙ্গে থাকতে না চাইলে তাঁর সামাজিক ক্ষতি করা হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বরাতে ইদানীং এটি অনেক সহজ হয়ে গেছে। ইচ্ছামতো বা মনগড়া পোস্ট করে দিলেই দিকে দিকে রটে যাবে। হরহামেশা পত্রিকায় আসছে হত্যার মতো ঘটনাও। ফলে যেভাবেই হোক বিয়ে টিকে থাকুক। বিচ্ছেদে যেন জীবন বরবাদ। তাই বিচ্ছেদের চেয়ে মৃত্যু শ্রেয়– এমন কট্টর মনোভাবও দেখা যায় অনেকের মধ্যে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও