সরকারি কর্মচারীরা কি নিজেরা নিজেদের বিপদে ফেলছেন

প্রথম আলো সুবাইল বিন আলম প্রকাশিত: ২১ মে ২০২৪, ১৩:২৮

বেসরকারি চাকরিজীবীদের নিয়ে লেখালেখি করতে গিয়ে মাঝেমধ্যে সরকারি কর্মচারীদের থেকেও আমাকে অনুরোধ করা হয় তাঁদের সমস্যা নিয়ে লিখতে। তাঁদের বহুদিনের দাবি নতুন পে স্কেল। বর্তমান সময়ে আসলে সৎ কর্মচারীদের জন্য চলতে পারাটাই কঠিন। কিন্তু এই কাজগুলো কি দ্বারাই কঠিন হয়নি?


এখন ২০১৫ সালের সর্বশেষ পে স্কেলের সময়ই কিন্তু বলা হয়েছিল, ভবিষ্যতে আর কোনো পে স্কেল দরকার হবে না। নিয়মতান্ত্রিকভাবে ৫ শতাংশ করে ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হচ্ছে, যা মূল্যস্ফীতিকে সমন্বয় করবে। যাঁরা প্রস্তাবনা করেছিলেন, তাঁরা কীভাবে জানলেন মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশের মধ্যে থাকবে? তাহলে এখন দায়টা কার?


সরকারি কর্মচারীরা বলতে চাইছেন, জিনিসপত্রের অত্যধিক দাম। তা-ই কি? আসুন দেখে নিই সরকারি হিসাব কী বলে। ২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর মূল্যস্ফীতি যথাক্রমে ৫ দশমিক ৫১ শতাংশ, ৫ দশমিক ৭ শতাংশ, ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ, ৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ, ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, ৭ দশমিক ৭ শতাংশ, ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ (ম্যাক্রো ট্রেন্ডস ডটকম এবং বাংলাদেশ ব্যাংক)। যার গড় করলে আসে ৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ।


এখন গত বছরে মহার্ঘ ভাতাসহ ৫ শতাংশ বৃদ্ধি ধরলে এই ৮ বছরে বেতন বেড়েছে ৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এখন সরকারি কর্মচারীদের যদি বেতন সমন্বয় হয়, তাহলে কত বাড়বে জানেন? মাত্র ৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ। সরকারি কর্মচারীদের তাঁদের ভাতার ওপর ট্যাক্স দেওয়া লাগে না। সে হিসেবে আসলে এই হিসাবের থেকে বেশি টাকা সমন্বয় হয়ে যায়। বেসরকারি খাতে কিন্তু বছর বছর ট্যাক্সের পরিমাণ বাড়ছেই।


আরও আছে, সারা বিশ্বে এখন সিটিসি (কস্ট টু দ্য কোম্পানি) হিসেবে বেতন-ভাতা হয়। সরকারি কর্মচারীরা পড়ে আছেন সেই ব্রিটিশ আমলের যুগেই। এ ক্ষেত্রে আধুনিকতা আনার দায়িত্ব কি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছিল না?


কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকই ভারতের বেতনের উদাহরণ দেন। তাঁদের উদ্দেশ্যে বলি, সেখানে বেতন হয় এই সিটিসির ওপর, বেসিক বেতন ধরে নয়। আর তাদের চাকরি বাংলাদেশের মতো নিশ্চিত চাকরিও নয়, পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে; কাজ ঠিকমতো না করলে চাকরি চলেও যায়। আর এ ব্যবস্থা আনার পরই ওদের সরকারি খাত আগের তুলনায় অনেক পেশাদার হয়েছে। আজ থেকে ২৫ বছর আগেও তারা আমাদের মতোই কি ছিল না?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও