রবীন্দ্রনাথ নিয়ে কেন আজ নতুন করে ভাবা প্রয়োজন?
যে সময় আমেরিকার কাগজে-কাগজে রবীন্দ্রনাথের চেহারার সঙ্গে যিশুর সাদৃশ্যের কথা লেখা হচ্ছে তখনো রবীন্দ্রনাথ নিজের মনের ভাব গোপন না করে স্পষ্টই পশ্চিমের হুড়োতাড়ার বিরুদ্ধে মত রাখছেন, ‘আমি এই দৌড়োদৌড়ি দেখে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি… এ যেন ঠেলাঠেলি, ছুটোছুটি আর অর্থ উপার্জনেরই দেশ।’
হয়তো এর বাইরেও একটা আমেরিকা তার আদিগন্ত বিস্তৃত ভুট্টাক্ষেতে, নদীতে, পাহাড়ে জেগে আছে। তবু সেখানে তিনি তা পাননি যা প্রথম সূর্যোদয়ের দেশ তাকে দিয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ বলছেন, ‘আমি জাপানে দেখেছি সাধারণ মজুররাও নদীর ধারে দাঁড়িয়ে পনেরো মিনিট ধরে স্তব্ধ হয়ে প্রকৃতির সৌন্দর্য্যে মগ্ন হয়ে আছে, তাদের কালো চোখের দৃষ্টি সুরে কোমল, এই দৃশ্যের সঙ্গে লন্ডন শহরের দৃশ্যের তুলনা করেছি, জনতা ছুটে চলেছে ঊর্ধ্বশ্বাস, তাদের মুখ উদভ্রান্ত।’