শ্রীলংকা পেরেছে, আমরা কেন পারছি না?
প্রসঙ্গটা মূল্যস্ফীতি নিয়ে। মানবসমাজ সব সময়, সবকালে কোনো না কোনো সংকটের ভেতর দিয়ে এবং সংকট মোকাবিলা করে বিকশিত হয়েছে। আজকের যে আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা, তা প্রতিনিয়ত সংকট মোকাবিলা করে বর্তমান অবস্থায় পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে।
সমাজ থেকে সমাজে পরিবর্তিত হয়েছে তদারকি ও পরিচালন ব্যবস্থাপনা। একসময়কার দাসব্যবস্থার পরিবর্তিত উন্নত সমাজ হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে আজকের গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা। সমাজ বা রাষ্ট্রব্যবস্থা যখন পরিবর্তিত হয়, তখন কেবল মানুষের ভাত-কাপড়ের প্রাপ্তির পরিবর্তন হয় না; হয় মানুষের প্রতি রাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গিরও।
একসময়কার সামন্ত রাজা প্রজাদের প্রতি যে দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করতেন, আজকের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণের প্রতি সরকারের সেরকম দৃষ্টিভঙ্গি অমূলক। একসময় রাজা অধিষ্ঠিত হতেন, আজকে (রাজা) প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে সেদেশের জনগণ। এবং সেই নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্ক প্রায় ১১ কোটি ভোটারের প্রত্যেকের রয়েছে সমান ক্ষমতা ও অধিকার। মহামান্য রাষ্ট্রপতিরও ১ ভোট, আবার আমার মতো সাধারণ মানুষেরও ১ ভোট। সবার সম্মতির মূল্য ও গুরুত্ব সমান। এ কারণে আজকের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় কোনো কিছু লুকোছাপার প্রয়োজন নেই। সরকারি কর্মকাণ্ডের কোনো সফলতা থাকলে তার কৃতিত্ব সরকারকে দিতে হবে। পাশাপাশি ব্যর্থতার কোনো উদাহরণ থাকলে তার দায় সরকারকে নিতে হবে। কোনো ব্যর্থতাকে সফলতা বলে চালিয়ে দেওয়ার প্রবণতা আজকের আধুনিক সমাজে বেমানান।
- ট্যাগ:
- মতামত
- বাংলাদেশ
- শ্রীলঙ্কা
- অর্থনৈতিক অবস্থা