‘এক্স’ নিয়ে কী পরিকল্পনার ফাঁদ পাতছেন ইলন মাস্ক?

www.kalbela.com এরিন হেল প্রকাশিত: ০৬ আগস্ট ২০২৩, ০৯:৪২

টুইটারকে একটি ‘এভরিথিং অ্যাপ’-এ রূপান্তরিত করার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইলন মাস্ক। এর আগে মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারের নাম পরিবর্তন করে ‘এক্স’ নামকরণ করেন তিনি।


গত সপ্তাহে টুইটারের নাম এবং পাখির লোগো পরিবর্তন করার সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা করে এক পোস্টে ইলন মাস্ক বলেছিলেন, রিব্র্যান্ডেড প্ল্যাটফর্মটি গ্রাহকদের যোগাযোগকে বিস্তৃত করবে এবং মানুষের জীবনের সব আর্থিক কর্মকাণ্ড সহজে পরিচালনা করার ক্ষমতাকে প্রসারিত করবে।


ইলন মাস্কের এই পরিকল্পনা চীনা সুপার অ্যাপ উইচ্যাট থেকে অনুপ্রাণিত বলে মনে করা হচ্ছে।


সোশ্যাল মিডিয়া, ডিজিটাল পেমেন্ট, ইন্টারনেট ব্রাউজিং এবং আরও অনেক কিছু একই প্ল্যাটফর্মে পাওয়া যাচ্ছে বিধায় চীনাদের দৈনন্দিন জীবনের সর্বত্রই 'উইচ্যাট' এর উপস্থিতি বিদ্যমান। ২০১১ সালে টেক জায়ান্ট টেনসেন্ট এই অ্যাপটি চালু করে।


চীনে যেভাবে গড়ে উঠল উইচ্যাট


চীনে উইচ্যাটের আত্মপ্রকাশের সময়টিই ছিল এর সাফল্যের পেছনে অন্যতম কারণ। সীমিত অবকাঠামো এবং বৃহৎ গ্রামীণ জনসংখ্যার কারণে ২০১১ সালে, চীনের ১.৩ বিলিয়ন জনসংখ্যার মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৪৮৫ মিলিয়ন। সে সময় চীনে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহারও ছিল সীমিত। লেনদেনের জন্য মানুষ নগদ অর্থের ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল ছিল। সর্বোচ্চ মুদ্রামান ছিল তখন ১০০ রেনমিনবি (চীনের মুদ্রা), যা ১৩ ডলারের সমান।


উইচ্যাট এবং একই ধরনের অ্যাপগুলো ব্যবহারকারীদের তাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অর্থ লেনদেনের সুযোগ এনে দেয়। ট্রিভিয়াম চায়না'র টেক পলিসি রিসার্চের প্রধান কেন্দ্রা শেফার বলেন, উইচ্যাট হঠাৎ করেই চীনা ব্যবহারকারীদের সরাসরি ডেস্কটপ এবং ব্রডব্যান্ডের যুগ থেকে স্মার্টফোন এবং অ্যাপের যুগে নিয়ে আসে।


কেন্দ্রা শেফার আরও বলেন, চীনের উইচ্যাট একটি সামাজিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের চাহিদা পূরণ করেছে। কিন্তু আমেরিকার ইন্টারনেট পরিসেবার ল্যান্ডস্কেপ আলাদা। তাই সেখানে ইলন মাস্কের 'এভ্রিথিং অ্যাপ' চীনের উইচ্যাটের মতো কাজ করবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।


আজকের ২০২৩ সালে মার্কিন ইন্টারনেট ইকোসিস্টেম ২০১১ সালে চীনের তুলনায় অনেক বড় এবং আরও বহুমুখী।


ইলন মাস্ক যদি তার সুপার অ্যাপটিকে সফল বানাতে চান, তাহলে তাকে এর মধ্যে একটি পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম একীভূত করার উপায় খুঁজতে হবে- যা হবে তার 'সফলতার গোপন রহস্য'। এর ফলে ব্যবহারকারীরা থার্ড-পার্টি লিংকে কম প্রবেশ করবে; কিন্তু এ ধরনের একীভূতকরণের কথা তারা আগে চিন্তা করেননি বলে মন্তব্য করেন ট্রিভিয়াম চায়না'র টেক পলিসি রিসার্চের প্রধান কেন্দ্রা শেফার।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও