সংকট সমাধানের তৃতীয় পথটাই খুলে দিন
বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক করার কথা যারা দেশের বাইরে থেকে বলছে, তাদের বাইরে আরও পক্ষ আছে। আরেকটি পক্ষ দুটি কথা বলছে। এক. এটা ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়’। দুই. তারা এমনও বলেছিল, আমরা ‘বর্তমান সরকারের পাশে আছি’। কেউ প্রশ্ন তুলতে পারে– সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলা ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ’ কিনা? এ প্রশ্নও তোলা যেতে পারে, যেসব দেশ ইস্যুটিকে বাংলাদেশের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে দূরে থাকতে চাইছে, তারা ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষেই আছে কিনা? যারা কিছুদিন আগেও বলেছিল, বর্তমান সরকারের পাশে আছি– প্রশ্ন উঠতে পারে, তারা কি এ দেশের জনগণের পাশে ও তাদের প্রত্যাশার সঙ্গে নেই?
কথাগুলো তুলতে হলো এ জন্য যে, একটি দেশের বিশেষ দূতকে বারবার এ দেশে আসতে দেখা যাচ্ছে ‘গোপনে’। সেটা গোপন রাখা যাচ্ছে না। আজকের দুনিয়ায় আলাপ যে অবশ্য দেশে এসে বা দেখা করেই করতে হয়, তা নয়। তবু কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ঘোষণা দিয়ে আসার ব্যাপার রয়েছে। হঠাৎ করে সফর আয়োজনের প্রয়োজনও পড়তে পারে। গোপনীয়তার কিছু আছে বলে তো মনে হয় না। যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন বা অন্য কোনো ইস্যুতে সফর হলে সে খবর আগেই জানানো হচ্ছে। দেশে এ নিয়ে হচ্ছে আলোচনাও। হয়তো সেগুলো জল্পনা-কল্পনা ধরনের; তবে কখনও কখনও এমন সময় এসে উপস্থিত হয়, যখন জল্পনারও মূল্য থাকে। আমরা তো এমন একটা পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছি এবং সামনে যাওয়ার বাঁধানো পথ খুঁজে পাচ্ছি না।