
ভোট কমেনি, সাময়িক অনাগ্রহ
অস্বীকারের উপায় নেই, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের কিছুটা হলেও করুণ পরাজয় হয়েছে। ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ’ যা আমাদের স্বাধীনতার মূলমন্ত্র, তার বিরোধিতা করে, ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে’র ওপর ভর করে, দেশের বড় অংশের মানুষকে বিভ্রান্তির পথে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। তারা এখন এই আদর্শকেই দেশপ্রেমের মূলমন্ত্র মনে করে। দলটি যখন কোনো জাতীয় নির্বাচন, উপনির্বাচন বা মেয়র নির্বাচন বয়কট করে, স্বাভাবিকভাবেই ভোটকেন্দ্রে তার প্রভাব পড়তে বাধ্য। একই সঙ্গে বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী অসংখ্য ভোটার যখন দেখেন, ভোটকেন্দ্রে জোরালো কোনো বিরোধী প্রার্থী নেই, তখন তারা ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার তেমন প্রেরণা পান না। তাদের বদ্ধমূল ধারণা, আমি না গেলেও আমার রাজনৈতিক আদর্শের প্রার্থীই জয়লাভ করবে! ঠিক তখনই ভোটকেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি কমে যায়। আবার পক্ষ-বিপক্ষের ভাসমান অনেক ভোটার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে। তাদেরও ধারণা একই রকম। ঠিক এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে অনেকে বলতে শুরু করেছেন, দেশ স্বাধীনের কারিগর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভোট অনেক কমে গেছে! যদি নিরপেক্ষ এবং স্বাধীন নির্বাচন হয়, তাহলে নাকি আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা দেশে ২০টি সংসদীয় আসনও পাবে না! আসলেই কি তাই?
যে যাই বলুক, আওয়ামী লীগের অনুভূতি সাধারণ মানুষের রক্তের মধ্যে মিশে আছে। আসন্ন নির্বাচনে তার প্রমাণ হাড়ে হাড়ে পাওয়া যাবে। এটা হবে তখন, জাতীয়তাবাদী দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। এর আগে না। তখনই প্রমাণিত হবে, কোন পক্ষের সমর্থন বেশি। এই দেশের মানুষ কখনো স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং অধিকারের প্রশ্নে আপস করেনি, করবে না। আওয়ামী লীগের ভোট কমেছে, বিরোধী দল বিএনপির ভোট কতটুকু বেড়েছে, আসন্ন নির্বাচনেই তা প্রমাণিত হবে।
- ট্যাগ:
- মতামত
- ভোট
- উপ-নির্বাচন
- অনাগ্রহ