আমেরিকায় কি মানবাধিকার ঠিক আছে?
ফোর্বস বলছে– “More than 300 mass shootings have occurred across the country this year, according to data compiled by the Gun Violence Archive, as 2023 remains on pace to become the deadliest year for mass shootings in recent history.” । বছরের মাত্র ছয় মাস গেলো কিন্তু এর মধ্যেই বন্দুক হামলার ঘটনা সব রেকর্ড ভেঙে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ওপরের দিকে চলে এসেছে।
এই পরিসংখ্যান বিশ্বমোড়ল যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ঘটনার। এসব বন্দুক হামলায় মারা যাওয়া সাধারণ মানুষের সংখ্যাটাও ঊর্ধ্বমুখী। মৃত ও আহতের তালিকায় আছে রেকর্ড সংখ্যক শিশুরা। গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের তালিকায় সেসব হামলায় কতজন দোষী গ্রেফতার বা বিচারের সম্মুখীন হয়েছে সেটাও দেখা যায়। অবাক করা বিষয় হচ্ছে, সেই তালিকা অত্যন্ত হতাশাজনক। অথচ আমেরিকা আমাদের দেশের যেকোনও হামলাতে উদ্বেগের যন্ত্রণায় ভোগেন। তার চেয়েও বিস্ময় হচ্ছে এসব হামলায় আমাদের বিশ্ব মানবাধিকার নিয়ন্ত্রক সংস্থা জাতিসংঘের কোনও বিবৃতি বা বক্তব্যের দলিল পাইনি কোথাও। শিশুরা মারা যাচ্ছে কিন্তু জাতিসংঘ সেখানে টুইট করার দায় দেখায়নি।
এই আলোচনায় হয়তো যেতাম না যদি না আমেরিকা ও জাতিসংঘ আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে এতটা উদ্বিগ্ন হতো। ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন হয়ে গেলো। ভোটার সংখ্যার উপস্থিতি কম হলেও বিজয়ী হয়েছেন সরকার দলের প্রার্থী। আলোচনায় প্রথম থেকেই ছিলেন ইউটিউবার, টিকটকার হিরো আলম। যিনি নামের আগে ‘হিরো’ লাগালেও নেই কোনও সিনেমা বা নাটকে অভিনয়ের রেকর্ড। একজন টিকটকার থেকে জাতীয় সংসদের প্রার্থী হওয়ার জন্য অবশ্যই হিরো আলমের প্রশংসা প্রাপ্য।
এই ব্যর্থতার দায় আমাদের সবার হলেও সফলতা পুরোটাই হিরো আলমের। ভোটের দিন সবকিছু স্বাভাবিক থাকলেও দিনশেষে হঠাৎ করে কিছু অতি উৎসাহী বা দুর্বৃত্তদের আক্রমণে হিরো আলম আবারও চলে আসে লাইম লাইটে। এই কাজটা একদম অপ্রয়োজনীয় হলেও যেভাবেই হোক ঘটেছে আর এই ব্যর্থতার দায় আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও নিতে হবে।
ভোটের দিন মানেই কিছুটা উত্তেজনা থাকবেই। তাই যেকোনও প্রকার উত্তেজনাকে প্রতিহত করাই পুলিশ বা নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান দায়িত্ব। আর সরকারি দলেরও বিশেষ সতর্কতা রাখা উচিত ছিল যেন কোনও সুবিধাবাদী গ্রুপ কোনোভাবেই সুযোগ নিতে সাহস না পায়। এই একটা জায়গায় ব্যর্থ হয়েছে সরকারি দলের লোকজন।