কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

‘সরকার আসলে চামড়া ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি’

জাগো নিউজ ২৪ ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ প্রকাশিত: ০৩ জুলাই ২০২৩, ২৩:১৬

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর। অধ্যাপনা করছেন বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালেয়ে।


কোরবানির চামড়ার দরপতন ও চামড়া শিল্প প্রসঙ্গ নিয়ে মুখোমুখি হন জাগো নিউজের। বিশেষ সিন্ডিকেটের কারণেই কোরবানির চামড়ার ন্যায্যমূল্য মিলছে না উল্লেখ করে বলেন, সরকার অন্য সেক্টরের মতো এখানেও সিন্ডিকেট ভাঙতে ব্যর্থ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সায়েম সাবু।


জাগো নিউজ: এবারও কোরবানির চামড়ার দুর্গতি। সরকার মূল্য নির্ধারণ করে দিলেও ন্যূনতম মূল্য পায়নি মানুষ। বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম যোগানদাতা ছিল চামড়া শিল্প। কী দেখছেন এই শিল্পের ভবিষ্যৎ?


ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ: আমরা বারবার বলে আসছি রপ্তানি আয়ের অন্যতম ক্ষেত্র হতে পারে চামড়া শিল্প। অন্তত কোনো কারণে যদি পোশাক শিল্পের বিকল্প খুঁজতে হয়, তাহলে চামড়া শিল্প অধিক গুরুত্ব পাবে।


বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত দাঁড় করানোর পেছনে এই শিল্পের অবদান অনস্বীকার্য। স্বাধীনতার আগে ও পরে থেকেই রপ্তানি আয়ে বিশেষ অবদান রাখছে। বিগত দিনে ভালো করেই আসছিল।


কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে চামড়া শিল্পে এক প্রকার ধস, বিশেষ করে কোরবানির চামড়া একেবারেই পানির দরে বিক্রি করতে হচ্ছে মানুষকে। আমি মনে করি, সরকার অন্য সেক্টরের মতো এখানেও নজর দিতে ব্যর্থ। আশানুরূপ কোনো পদক্ষেপ নিতে আমরা দেখতে পাইনি।


জাগো নিউজ: সরকারের নজর কোথায়?


ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ: সরকার পড়ে আছে তৈরি পোশাক খাত নিয়ে। কারণ তৈরি পোশাক খাতের লোকেরাই নানা সিন্ডিকেট তৈরি করে চলছে। সরকারে রয়েছে এই পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা, নীতি-নির্ধারকও তারাই। সরকারের সমস্ত ভাবনা এখন পোশাক নিয়ে। একদম একপেশে। এমনকি প্রণোদনাগুলোও এই পোশাক খাতের মালিকরা পাচ্ছেন।


দ্বিতীয়ত, চামড়া শিল্প ঘিরেও বিশেষ সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে, যেখানে সাধারণ মানুষ অসহায়। কিছুই করার থাকছে না মানুষের।


জাগো নিউজ: সরকার তো চামড়া শিল্পের উন্নয়নে পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে দাবি করছে। হাজারীবাগ থেকে সাভারে স্থানান্তর করা হলো চামড়া কারখানা। রপ্তানির ব্যাপারেও উদ্যোগী। অথচ কোরবানির চামড়ার মূল্য নেই।


ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ: কারখানা স্থানান্তর করা সব সমস্যার সমধান নয়। সিন্ডিকেট তো একই। হাজারীবাগেও যা, সাভারেও তা।


জাগো নিউজ: লবণের দাম বৃদ্ধি এবং ট্যানারি মালিক ও চামড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব এই পরিস্থিতি তৈরি করে বলে বলা হচ্ছে। আসলে কি তাই?


ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ: চামড়ার দুর্গতির জন্য এই কারণগুলো আসলে মুখ্য না। সিন্ডিকেটগুলোই এ হাল করে রেখেছে এবং সরকার তা ভালো করে জানে। আসলে ব্যবসার একটি স্বাভাবিক রূপ থাকে, তা আর নেই। লবণের দাম বাড়িয়ে চামড়ার দাম কমানো হচ্ছে। এটি কোনো নৈতিকতার মধ্যে পড়ে না। সব কিছুর দায় সিন্ডিকেটের।


আপনি আসলে কারণগুলো আলাদা করে দেখলে সমাধানে আসতে পারবেন না। একটি কারণ আরেকটির সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং এর জন্য একটি মহলই দায়ী। কোরবানির চামড়া ঘিরে এক সপ্তাহ সব নিয়ন্ত্রণে রাখে এই সিন্ডিকেট। ট্যানারি মালিক, চামড়া ব্যবসায়ী, লবণ ব্যবসায়ী এক সুতোয় গাঁথা। চামড়া পচনশীল। চাইলেও ঘরে রাখা যায় না। এ কারণে বাধ্য হয় কম দামে বিক্রি করে দিতে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও