মতপার্থক্য থাকাটা স্বাভাবিক ব্যাপার
আজকের পত্রিকা: আন্দোলনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করা কি সম্ভব?
রুহুল কবির রিজভী আহমেদ: সম্ভব। যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত কোনো দাবি কখনো ব্যর্থ হয় না। পৃথিবীর ইতিহাসে এ রকম কোনো দৃষ্টান্ত নেই। ন্যায়সংগত দাবি সব সময়ই আদায় হয়। একটু সময় লাগতে পারে। তবে নিঃসন্দেহে এ দাবি আদায় হবে।
আজকের পত্রিকা: দাবি না মেনে সরকার যদি নির্বাচনে যায়, তখন বিএনপি কী করবে?
রুহুল কবির রিজভী: সরকার দাবি না মানা পর্যন্ত বিএনপি আন্দোলন অব্যাহত রাখবে এবং সমমনাদের সঙ্গে নিয়ে মিছিল-মিটিংয়ে ঢাকাসহ সারা দেশ উত্তাল করে তুলবে।
আজকের পত্রিকা: অতীতে বিএনপির আন্দোলনে সাফল্যের নজির আছে কি?
রুহুল কবির রিজভী: আন্দোলন সব সময় একই ধারায় এগিয়ে যায় না। যেকোনো ধরনের আন্দোলনের উত্থান ও পতন থাকে। এভাবে আন্দোলন করতে করতেই একসময় স্বৈরশাসনের অবসান হয়। স্বৈরশাসক বাধ্য হন জনগণের দাবির কাছে মাথা নত করতে।
আজকের পত্রিকা: নির্বাচন প্রতিহত করার আন্দোলন কি বিএনপি করতে পারবে? ভিসা নীতি তো একধরনের বাধা?
রুহুল কবির রিজভী: ভিসা নীতি বাধা হিসেবে দাঁড়াবে তাদের জন্য, যারা গণতন্ত্রকে অবরুদ্ধ এবং বন্দী করে রেখেছে। সেই বন্দী গণতন্ত্রকে উদ্ধার করার জন্য আমরা আন্দোলন করছি। এটা আমাদের জন্য বাধা হিসেবে দাঁড়ানোর কোনো কারণ দেখি না। বড় বিষয় হচ্ছে, গোটা জাতি আজ সব ধরনের অধিকার থেকে বঞ্চিত। অবৈধ সরকার, বিনা ভোটে এবং নিশিরাতে ভোট করে ক্ষমতা জোর করে আঁকড়ে ধরে রেখেছে। সুতরাং ভিসা নীতি হোক আর অন্য যেকোনো বিষয় হোক না কেন, সবচেয়ে বড় বিষয়টা হচ্ছে, মানুষের অধিকার এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। এটা কোনো দেশ হতে পারে কি যে দেশে অনেক বছর ধরে কারও মুখ থেকে প্রতিবাদের ভাষা উচ্চারিত হচ্ছে না? আবার নির্বিচারে গুলি করে, গুম করে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। বিচারবহির্ভূত হত্যা করা হচ্ছে আন্দোলনকামী ছাত্র-যুবক ও সাধারণ মানুষকে। এটা তো কোনো স্বাভাবিক দেশ হতে পারে না। এটা কোনো আধুনিক, সভ্য দেশ হতে পারে না। যারা ক্ষমতায় মদমত্ত হয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করছে তাদের প্রতিহত, পরাজিত করাই হচ্ছে গণতন্ত্রকামী মানুষের মুখ্য উদ্দেশ্য।
আজকের পত্রিকা: অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিদেশিদের নাক গলানো বিএনপি কেন পছন্দ করছে?