বিরোধিতার মধ্যেই মোদির ওয়াশিংটন সফর
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওয়াশিংটন সফরের আগে প্রস্তুতি হিসেবে ঝটিকা সফরে নয়াদিল্লি এলেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান। তার এ সফর কিন্তু অস্বাভাবিক। সাধারণত পররাষ্ট্র দপ্তরের কূটনীতিকদের এই দায়িত্ব দেওয়া হয়। স্পষ্টতই খোদ হোয়াইট হাউজ এই রাষ্ট্রীয় সফরটি পরিচালনা করছে। তারাই এর সরাসরি দায়িত্ব নিচ্ছে।
এটাও কিছুটা অস্বাভাবিক যে, সুলিভান নয়াদিল্লিতে বাছাই করা সাংবাদিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে সফরের কিছু সম্ভাব্য ফলের ইঙ্গিত দিয়েছেন। অথচ আমাদের নিজস্ব পক্ষ এখনো সেগুলো নিয়ে কোনো কথা বলেনি। সুলিভান দৃশ্যত এ সফরের সম্ভাব্য ফলাফলের বিষয়ে লোকজনের ব্যাপক আগ্রহের বিবেচনায় আমাদের সরকারকে এ ক্ষেত্রে টেক্কাই দিলেন। মিডিয়ারও ব্যাপক দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে নরেন্দ্র মোদির এ সফর। তিনি কম্পিউটারের সেমি-কন্ডাক্টর সাপ্লাই চেইনের ক্ষেত্রে সহযোগিতায় ‘উল্লেখযোগ্য ফলাফল’ এবং ‘অনেকগুলো ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ঘোষণার’ সম্ভাবনার কথা বলেছেন। এর মধ্যে আরও থাকবে ৫জি, ৬জি ও ওপেন আরএএন চালু এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মেশিন লার্নিং এবং অ্যাডভান্সড ওয়্যারলেস পদ্ধতির বিষয়ে অভিন্ন অবস্থান গ্রহণের মতো ক্ষেত্রে কিছু অগ্রগতি। অত্যাধুনিক বিমানের ইঞ্জিন জিই ৪১৪ বিষয়ে, তিনি অগ্রগতির প্রচেষ্টার কথা বলেছেন কিন্তু ঠিক কোন ক্ষেত্রে সে সম্পর্কে বাড়তি কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। সাংবাদিকদের সুলিভান বলেন, ‘লক্ষ রাখুন এবং দেখুন আগামী সপ্তাহে পরিস্থিতি কোন দিকে যায়।’